২৭ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১১:০৭ অপরাহ্ণ
এস এম মোরশেদ মুন্না, নাজিরহাট
ফটিকছড়ির ধর্মপুর ইউনিয়নের আজাদীবাজার-কমিটিহাট সড়কের বিসমিল্লাহ মসজিদ সংলগ্ন কালভার্টটি মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।
দেড় বছর আগে কালভার্টের এক প্রান্ত ফুটো হয়ে গেলে ওই স্থানে একটি লোহার পাটাতন দিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। সেই লোহার পাটাতনের পাশ দিয়ে সম্প্রতি ফের ফুটো হতে শুরু করলে গাছের ডাল দিয়ে সেই অংশ দিয়ে যানবাহন না চলাচলের বিষয়ে সতর্কতার ব্যবস্থা করা হলেও ভারী যানবাহন চলাচল অব্যাহত থাকায় যেকোন মুহূর্তে কালভার্টটি ভেঙে পড়ে যান-মালের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। একাধিক অবৈধ বালু মহালের বালু আর কাঠবোঝাই যান চলাচলে কালভার্টটির দুরবস্থা হলেও চলমান নাজুক অবস্থার মধ্যেও উক্ত যানবাহনগুলির চলাচল বন্ধ নেই। এতে কালভার্টটির অবস্থা দিনদিন খারাপ হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, একটি ডোবার উপর কালভার্টটির অবস্থান। দুই পাশে রেলিং নাই। আনুমানিক দেড় বছর আগে কালভার্টের এক প্রান্ত ফুটো হয়ে গেলে ওই স্থানে একটি লোহার পাটাতন দিয়ে কোনমতে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কালভার্টের পশ্চিম পাশ দেবে গেছে অনেক আগেই। স্থানে স্থানে ফাটলসহ নিচের অংশের ভিত নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলা এলজিইডি সূত্র জানায়, নানান জটিলতার কারণে সহসা এই কালভার্টের সংস্কারের কোন সম্ভাবনা নাই।
স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মদ মানিক জানান, নিত্যদিন উক্ত কালভার্টটি দিয়ে চলাচল করি। দোয়া পড়ে কালভার্টে উঠতে হয়, কখন যে ভেঙে পড়ি তা নিয়ে শঙ্কিত থাকি। ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, আর কতটুকু ভাঙলে সংস্কার হবে তা আমার জানা নেই। যেকোন মুহূর্তে ধসে পড়বে কালভার্টটি।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মুহাম্মদ সোয়েব জানান, বৃহৎ একটি জনগোষ্ঠী এই কালভার্ট দিয়ে চলাচল করে। এমনকি পাশের রাউজান উপজেলার বাসিন্দারাও চলাচল করে এই কালভার্টের উপর দিয়ে। ধর্মপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুল হক জানান, কালভার্টটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করছি এটি সংস্কারের আওতায় আনতে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আব্দুস সালাম জানান, ‘নানা জটিলতায় কালভার্টটি আমরা কোন প্রজেক্টে নিতে পারছি না। এতে এটি দীর্ঘসূত্রিতার মধ্যে পড়ে গেলো’।
পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ