চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কাঞ্চন ভ্যালি ইকোভিলেজে গ্রামীণ বিনোদন

মো. দেলোয়ার হোসেন, চন্দনাইশ

২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৭:১৫ অপরাহ্ণ

উপজেলার কাঞ্চননগর পাহাড়ি এলাকায় ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে কাঞ্চন ভ্যালি ইকোভিলেজ নামে একটি দর্শনীয় স্থান।

সরেজমিনে জানা যায়, পটিয়া মুজাফরাবাদ গ্রামের ৪ যুবক সঞ্জয়, অভি, অঙ্গন, শাহরিয়ার মিলে ৬ একর পাহাড়ি টিলায় নিজেদের দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। তারা জানায়, বিগত ৪ মাস পূর্বে বাঁশের তৈরি টংঘর, মাচাং তৈরি করে ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য বিনোদনের স্থান হিসেবে গড়ে তোলার কাজ হাতে নিয়েছে।

৪ বন্ধুর নিজস্ব চিন্তা-চেতনা থেকে অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি ৬ একর পাহাড়ি টিলা ক্রয় ও লিজ নিয়ে স্থানীয় বাঁশ দিয়ে তৈরি করেছেন বিভিন্ন স্থাপনা। সেখানে ২টি দোলনা, ১টি নামাজের জন্য মাচাং, ২টি বাঁশের তৈরি ঘর রয়েছে। যেখানে পর্যটকেরা বসে বিনোদনমূলক সময় কাটাতে পারবে। মাত্র ২০ টাকা প্রবেশমূল্যে কাঞ্চন ভ্যালি ইকোভিলেজে প্রবেশ করতে পারবে পর্যটকরা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখা হয় ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য।

সঞ্জয় জানালেন, প্রতিদিন এক থেকে দেড়শ পর্যটক কাঞ্চন ভ্যালিতে আসে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলাকালীন স্কুল বা কলেজ ড্রেসে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না বলে জানান তিনি। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বেশি পর্যটক আসে বলে জানান।

কীভাবে যাবেন: উপজেলার রৌশনহাট থেকে পূর্ব দিকে ৪ কি.মি পথের মধ্যে কিছু অংশ সড়ক কার্পেটিং, কিছু অংশ ব্রিকসলিন করা থাকলেও অর্ধেকাংশ কাঁচা রাস্তা দিয়ে যেতে হবে এখানে।

পরিচালক শাহারিয়ার মোহাম্মদ ইমন বলেন, এখানে পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় পানীয় জলের সংকট রয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠান পিকনিক করতে আসলে জনপ্রতি ১শ টাকা করে নেয়া হয়। এক্ষেত্রে ছোটদের জন্য এবং গ্রুপের জন্য কনসিডারেশন রয়েছে।

পাহাড়ি এলাকায় পর্যটনকেন্দ্র গড়ার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী। পাশাপাশি তাদের যেকোন রকম সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী।

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট