চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রাউজানের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলী মাঠ হলদে রঙে রঙিন

জাহেদুল আলম, রাউজান

২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১২:২৭ অপরাহ্ণ

রাউজানের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলী মাঠ হলদে রঙে ভরে গেছে। যেদিকে চোখ যাচ্ছে, সেদিকে শুধু হলুদ আর হলুদ। সরিষার চাষে যেন বিপ্লব ঘটেছে এ উপজেলায়। এবার গত বছরের চেয়ে তিনগুণ বেশি হয়েছে সরিষা চাষ। গতবছর উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় ১শ ৪৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। এবার তা তিনগুণ বেড়ে আবাদ হয়েছে ৩শ ৭৫ হেক্টর জমিতে। 

 

উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, রাউজানের প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় এ চাষ হয়েছে এ মৌসুমে। তবে সবচেয়ে বেশি সরিষার চাষাবাদ হয়েছে চিকদাইর, হলদিয়া, ডাবুয়া, নোয়াজিষপুর, গহিরা ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে। এ চাষাবাদে কৃষকদের বীজসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী।  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, ‘যখন ইউক্রেন যুদ্ধসহ বৈশ্বিক নাজুক পরিস্থিতির কারণে সরকার তৈলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি নির্ভর কমানোর বা নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নিদের্শনা দেন, তখন এমপি ফজলে করিম সরিষার আবাদের জন্য রাউজানের ২ হাজার কৃষকের মাঝে ১ কেজি করে সরিষা বীজ বিরতণ করেন। পাশাপাশি ১শ কৃষকের মাঝে একশ কেজি সূর্যমুখী বীজ বিতরণ করেন। এ মৌসুমে এবার সরিষার বিপ্লব ঘটেছে রাউজানে।’ 

 

কৃষি অফিসের কর্মকর্তা জানান, রাউজানে এবার সরিষা থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ তৈল উৎপাদন হবে। যার কারণে রাউজানবাসী নিজেরা ব্যবহারের পাশাপাশি বাজারেও বিক্রি করতে পারবেন তৈল। আগামী মৌসুমে প্রত্যক কৃষকের হাতে বীজও থাকবে। কৃষকদের সুবিধার কথা ভেবে এবং তাদের উৎসাহ দেয়ার জন্য দুটি সরিষা ও সূর্যমুখী তৈল ভাঙ্গানোর মেশিন অতি শীঘ্রই প্রদানের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন এমপি। ওই দুটি মেশিনে ৩৩ রকম ফসল থেকে তৈল উৎপাদন করতে পারবে।’

 

এদিকে গত শনিবার চিকদাইর ইউনিয়নে সরিষা ক্ষেত পরিদর্শনে গেছেন এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। এসময় তিনি কৃষকদের সাথে কথা বলেন এবং সরিষা হলুদ মাঠে গিয়ে তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এসময় তিনি সরিষা ক্ষেতে নিজের ছবিও তোলেন। এমপি ফজলে করিম সরিষার আবাদ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।’

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট