চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

খাল পাড়ে সবুজের মেলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, লোহাগাড়া

৭ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়া উপজেলা নয়টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি বিভিন্ন খাল-বিল-ঝিল ও ছড়া বেষ্টিত। বর্ষার ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় কৃষকরা এবার শুষ্ক মৌসুমে খালের পাড় ও চর এলাকায় শীতকালীন বিভিন্ন শাক-সবজি আবাদ করে লাভের মুখ দেখছেন। সম্প্রতি এলাকা পরিদর্শনে দেখা গেছে, কলাউজান ইউনিয়নস্থ টঙ্কাবতী খালের আদায় চর, পদুয়া ইউনিয়নস্থ হাঙ্গর খালের নৌঘাটা, হানিফার চর, ফরিয়াদিকূল, জঙ্গল পদুয়া, টঙ্কাবতী খালের আমিরাবাদ ইউনিয়নের হাজার বিঘা, রাজঘাটা, মুন্ডার চর, ডলু খালের আলুর ঘাট, বড়হাতিয়ায় থমথমিয়া খালের চর, আধুনগরের হাতিয়ারকূল প্রভৃতি এলাকার খালের পাড়ে মূলা, বেগুন, কাঁচা মরিচ, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি, বাধাকপি, বরবটি, শিম, টমেটো, লাল শাক, পালং শাক, লাউ শাক, মূলা শাক, গাজরসহ নানা জাতের শাক-সবজির আবাদ করেছেন।

 

কৃষকরা এখন সবজি বাজারজাত এবং জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কলাউজানের টঙ্কাবতী খালের আদারচর ও পদুয়া ইউনিয়নের জঙ্গল পদুয়া, নৌঘাটা , ফরিয়াদিকূল ও হানিফার চর এলাকায় বর্তমানে শাক-সবজি উৎপাদনের অন্যতম চারণভূমি। বিভিন্ন খাল ও ছড়ার কারণে পানি সহজলভ্য হওয়ায় এবং মাটির উর্বরতার কারনে আঁখ ও বাদামের ফলন হচ্ছে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে। ফলে চাষীরাও লাভবান হচ্ছেন। বর্ষায় এসব এলাকায় চাষাবাদ হয় না বললেই চলে। বানের পানিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় পুরো চর এলাকা। বর্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চর এলাকার চাষীরা তাই খণ্ডকালীন এই আবাদেই ঝুঁকছেন বেশি।

 

কলাউজান আদার চরের সবজি চাষী নুর মোহাম্মদ, স্বপন বড়ুয়া ও শান্তি বড়ুয়া জানান, বর্ষায় বানের পানির কারণে তারা চরে চাষাবাদ করতে পারেন না। শীত-মৌসুমে চরাঞ্চলে নানা জাতের শাক-সবজি চাষ করে ভাল আয় হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুনিরুল ইসলাম জানান, এ বছর উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ৩ শত ৬০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির চাষ করা হয়েছে।

 

পূর্বকোণ/আর

 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট