চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

পটিয়ায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষিকাকে প্রধান শিক্ষকের কু-প্রস্তাবের অভিযোগ, মামলা

পটিয়া সংবাদদাতা

২ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৮:৪২ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের পটিয়ায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষিকাকে একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুনুর রশিদ কর্তৃক কু-প্রস্তাবের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার (২ জানুয়ারি) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বেশ্বর সিংহের আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা উম্মে হাবিবা চৌধুরী। অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পটিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

 

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পটিয়া পৌরসদরের শশাংকামালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুনুর রশিদ একই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা উম্মে হাবিবা চৌধুরীকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে অবহিত করেন এবং এ ঘটনায় গতবছরে ২২ আগস্ট পটিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ (১০৮৬ নং) দায়ের করেন। এরপর থেকে ওই শিক্ষিকাকে বিভিন্ন মামলায় জড়ানো ও নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্কুল পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ গত ৩ সেপ্টেম্বর সর্বসম্মতিক্রমে প্রধান শিক্ষককে অন্যত্র বদলির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এর জের ধরে গত ২৮ ডিসেম্বর ওই শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে প্রধান শিক্ষক তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও প্রকাশ্যে হুমকি দেয় এমন অভিযোগ করা হয়।

 

এ বিষয়ে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী শিক্ষিকা উম্মে হাবিবা চৌধুরী জানান, প্রধান শিক্ষক হারুন একজন লম্পট ও দুশ্চরিত্রের লোক। দীর্ঘদিন ধরে আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হুমকি দিয়ে আসছিল। আমি এর বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ বলেন, এটি আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এসব করছে। আমি ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

 

মামলায় বাদীর আইনজীবী এডভোকেট নুর মিয়া জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক একই বিদ্যালয়ের সহকারী ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষিকা উম্মে হাবিবাকে কু-প্রস্তাব ও হুমকি ধমকির অভিযোগে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে পটিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ পাওয়া গেলে আসামির বিরুদ্ধে সমন ও ওয়ারেন্ট হতে পারে।

 

উল্লেখ্য, এর আগে একই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ ও স্কুল কমিটির সহ-সভাপতি আবু তৈয়ব সোহেলের মধ্যে ব্যাপক বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে উভয় পক্ষ পটিয়া থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত শনিবার স্কুল পরিচালনা কমিটির মাসিক সভায় প্রাকাশ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন প্রধান শিক্ষক ও সহ-সভাপতি। এসময় সভাপতি বিমল মিত্রের মধ্যস্থতায় সেখানে সমঝোতা হলেও তুচ্ছ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

 

পূর্বকোণ/রবিউল/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট