৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ | ৯:৪১ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন ছেলেকে চট্টগ্রাম শহরের একটি কলেজে ভর্তি করবেন। কিন্তু আর যাওয়া হল না কলেজে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বাবা মোসলেহ উদ্দিন টিপু (৫০)। ছেলে রাফির (২২) অবস্থাও গুরুতর। ভর্তি করা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া মনসা বাদামতল মোড় এলাকায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোসলেহ উদ্দিন টিপু পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টার দিকে মোসলেহ উদ্দিন তার বড় ছেলে রাফিকে নিয়ে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিসংক্রান্ত কাজে মোটরসাইকেলযোগে চট্টগ্রাম নগরীর উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। যাওয়ার পথে মনসা বাদামতল এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী চকরিয়ামুখী মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এ সময় বাবা ও ছেলে গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোসলেহ উদ্দিন টিপুকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ছেলে আহত মিনহাজ উদ্দিন রাফিকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নিহতের ভাগ্নে আবেদীন সজীব বলেন, ‘মামা নিজের মোটরসাইকেল চালিয়ে ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইন্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি করতে নিয়ে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মামা পেড্রোলো কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। ’
ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) স্নেহাংশু বিকাশ সরকার বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মোসলেহ উদ্দিন টিপুকে আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা ঘাতক গাড়িটি আটক করে রেখেছি। ’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপসহকারী পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, নিহতের পরিবার ও পটিয়া থানার পুলিশের ওপর নির্ভর করছে লাশের পোস্টমর্টেম করার বিষয়টি। লাশটি এখনো হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ