চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

উন্মুক্ত কক্সবাজার সৈকতের অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা, মাঠে চার মোবাইল কোর্ট

কক্সবাজার সংবাদদাতা

৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ | ৯:০১ অপরাহ্ণ

এবারও থার্টি ফার্স্ট নাইটে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের উন্মুক্তস্থানে কোনো অনুষ্ঠান নেই। কেবল সৈকত তীরের হোটেল-মোটেল গুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করা যাবে বলে অনুমতি দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, কয়েক বছর ধরে সমুদ্রসৈকতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে লাখ লাখ পর্যটক সমাগম ঘটে। তবে করোনাকালীন সময় থেকে সৈকতে কনসার্ট, গান-বাজনা ও বড় অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

 

সংশ্লিষ্টরা জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইটে সমুদ্র সৈকতে রাত ১২টার পর পর্যটক সমাগম নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। গত ২৩ ডিসেম্বর পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাত ১১টা থেকে মাঠে নামছে জেলা প্রশাসনের চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম।

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ হোটেল রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি মুকিম খান বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে সৈকতে কনসার্ট বা বড় কোনো অনুষ্ঠান না থাকায় পর্যটক আসার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ছে। এক সময় নতুন বছরকে বরণ ও পুরোনো বছরকে বিদায় জানাতে সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের বাড়তি চাপ থাকতো। কিন্তু এখন তা নেই।

 

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে উন্মুক্ত স্থান বা সমুদ্র সৈকতে গান-বাজনা, জমায়েত, আতশবাজি অথবা অন্য কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে জেলা প্রশাসনের চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাবে। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল জোরদার রাখবেন। তবে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে হোটেলগুলো ইনডোরে সীমিত অনুষ্ঠান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, এখানে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি নেই। তবে যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সবসময় প্রস্তুুত আছে। পর্যটকরা যেন নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারে সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কারো অনিরাপদ মনে হলে বা অভিযোগ থাকলে সৈকতে আমাদের অভিযোগ কেন্দ্র রয়েছে। অথবা কোন পর্যটক হয়রানির শিকার হলে সহজে আমাদের অভিযোগ জানাতে পারে।

তিনি বলেন, কক্সবাজারের নাজিরারটেক থেকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার সৈকতের কোথাও আতশবাজি, পটকা ফোটানোসহ গানবাজনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা ব্যান্ডসংগীতের আয়োজন করতে পারবে না কেউ। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় বালুচরে দাঁড়িয়ে সমুদ্র উপভোগ করা যাবে। বিধিনিষেধ পালনে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

 

পূর্বকোণ/আরাফাত/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট