চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

পাহাড়খেকোদের প্রতিরাতে আয় দু’লাখ!

এম জাহেদ চৌধুরী, চকরিয়া

৬ ডিসেম্বর, ২০২২ | ১২:৪৮ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকা ও মাতামুহুরীর চর থেকে বালু উত্তোলন ও বিকিকিনি অব্যাহত রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের দু’ দফা পরিদর্শন সত্বেও বালুখেকোরা বেপরোয়া, থেমে নেই বালু উত্তোলন ও পাচার থেকে। ফাঁসিয়াখালী বনবিভাগের পাহাড় কেটে ও উত্তর ঘুনিয়ার মাতামুহুরী নদীর ভরাট চর থেকে স্কেভেটর, পাম্প মেশিন ও বেলচা দিয়ে অবৈধভাবে বালু বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ১৫ সদস্যের সিন্ডিকেট।

 

এ ব্যাপারে অতি সম্প্রতি কক্সবাজারস্থ পরিবেশ অধিদপ্তর সরেজমিন পরিদর্শন করলে ‘দৈনিক পূর্বকোণে’ সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পর বালুখেকোরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। গাড়ি ও শ্রমিক বাড়িয়ে বালু পাচারে মেতে উঠে। এ তথ্য জেনে সোমবার (গতকাল) পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম পরিদর্শনে যায়। ওই সময় বালু পরিবহনে ব্যবহৃত ৫ টি ট্রাকসহ শ্রমিকরা পালিয়ে যায়।

 

স্থানীয় লোকজন জানায়, প্রতিদিন বিকাল ৪ টার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত বালি উত্তোলন ও পাচার চলে, ওই সময় অন্তত ২ লাখ টাকার বালু বেচাকেনা হয়। ট্রাক প্রতি কনস্ট্রাকশনে ব্যবহৃত সাদা বালু সাড়ে ৩ হাজার টাকা ও সাধারণ বালু ট্রাক প্রতি ৭০০ টাকা করে নিচ্ছে বালুখেকোরা।

 

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘ইতিপূর্বে দৈনিক পূর্বকোণে প্রকাশিত সংবাদের পেপার কাটিং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পাঠিয়েছেন।

 

মঙ্গলবার (গতকাল) সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে বেপরোয়া বালু উত্তোলন ও পাচারের দৃশ্য আমাদের নজরে আসে। ওইসময় ৫টি ট্রাকসহ শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। বালু উত্তোলনে নিয়োজিত ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে আমাদের পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

 

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট