বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে হাতে আঁকা লিওনেল মেসির বিশাল একটি চিত্রকর্ম (ছবি) নিয়ে হাজির হন শিক্ষক তারিকুল ইসলাম। তিনি রামু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের চারু ও কারুকলা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ফুটবলের জাদুকর মেসির বিশাল আকৃতির ছবি দেখে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটকেরাও। মুঠোফোনে সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে যান। পরে কাপড়ে আঁকা বিশাল ছবিটি বালুতে বিছিয়ে রাখা হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে মেসির ছবি নিয়ে স্কুলশিক্ষকের একক চিত্রপ্রদর্শনী।

মেসিকে নিয়ে এমন পাগলামোর কারণ জানতে চাইলে শিক্ষক তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘কাতার বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে আজ মধ্যরাতে আর্জেন্টিনার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বাঁচা-মরার লড়াই। যদিও আর্জেন্টিনা জিতবে। আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা মেসি আমার সবচেয়ে প্রিয়। ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ তাই নিজের হাতে সাদা কাপড়ে অ্যাক্রিলিক রং দিয়ে মেসির সবচেয়ে বড় ছবিটা এঁকেছি। যার দৈর্ঘ্য ৩৪ ফিট ও প্রস্থ ২২ ফিট। আর্জেন্টিনা-ভক্তদের জন্য নিজের হাতে আঁকা মেসির ছবিটি প্রদর্শনের জন্য সৈকতে নিয়ে এসেছি। মেসির ছবি দেখে সবাই মুগ্ধ।’

চিত্রশিল্পী তারিকুলের বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়িতে। ছবি আঁকার হাতেখড়ি বড় ভাই তাজমিনুর রহমানের হাতে। রামু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে চারু ও কারুকলা বিষয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রিয়জনদের ছবি আঁকেন। দেশ-বিদেশে একাধিক চিত্রপ্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে সম্মাননাও পেয়েছেন তিনি।

পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ