সন্তানের স্বীকৃতি চাওয়ায় কক্সবাজারের পেকুয়ায় জান্নাত আরা নামের এক গৃহবধূর হাত ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনায় অবশেষে মামলা নিল পুলিশ। দীর্ঘ ১৫ দিন পর গতকাল ২৭ নভেম্বর রাতে পেকুয়া থানায় (০৫/২২) মামলটি রুজু হয়েছে। এর আগে ১৭ নভেম্বর ওই গৃহবধূর ছেলে সেকান্দর মিয়া বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় এজাহার দায়ের করেন। পুলিশ মামলা না নেয়ায় সংবাদ সম্মেলনও করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী বটতলীয়া পাড়া এলাকার মৃত জাফর আলমের ছেলে তারেকুল ইসলাম (৪৫), ছেলে মিজানুর রহমান (২১) ও নজরুল ইসলামের ছেলে কাইসার (২৫)।
আহত জান্নাত আরা বেগম বলেন, ১৯৯৯ সালে তারেকুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয় তার। পরের বছরেই তাদের সংসারে সেকান্দর মিয়া নামের এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর থেকে সন্তানকে স্বীকৃতি দিতে অপারগতা জানিয়ে আসছে তারেক। তখন থেকে আলাদা জীবন শুরু। চলতি বছরে ভোটার হালনাগাদের সময় ছেলে সেকান্দর আলীর জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির আবেদন করা হয়। এতে বাধা দেন তারেকুল ইসলাম। এর জের ধরে নিয়মিত আমাকে ও আমার ছেলেকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয় সে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ নভেম্বর দুপুরে তারেকের নেতৃত্বে ৩-৪জনের সংঘবদ্ধ একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা করে। সেসময় আমার স্বামী তারেক লোহার রড দিয়ে আমার ডান হাতে আঘাত করে। এতে আমার হাতের হাড় ভেঙ্গে যায়। হাতের চিকিৎসা করে ঘটনার পাঁচদিন পর ১৭ নভেম্বর ছেলে সেকান্দর মিয়া বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় এজাহার দায়ের করলেও মামলা নেয়নি পুলিশ।
বাদী সেকান্দর মিয়া বলেন, আমার পিতৃপরিচয়কে কেন্দ্র করে পিটিয়ে মায়ের হাত ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। অবশেষে মামলা নিয়েছে পুলিশ। কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছি। মামলা রুজু হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ওমর হায়দার বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে।
পূর্বকোণ/জাহেদ/রাজীব