চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

টায়ার পুড়িয়ে কালো তেল তৈরি, সীতাকুণ্ডের সেই কারখানায় ফের তালা

সীতাকুণ্ড সংবাদদাতা

১৫ নভেম্বর, ২০২২ | ১০:৪৭ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডের এসএস ইন্ড্রাস্ট্রিজ নামক পরিবেশ বিধ্বংসী সেই কারখানা আবারো বন্ধ করল ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহাদাত হোসেন এই অভিযান পরিচালনা করেন। পরিবেশ ছাড়পত্রের শর্ত লংঘন করে কার্যক্রম পরিচালনা করায় কারখানাটি বন্ধ করা হয়।

 

ইউএনও শাহাদাত হোসেন জানান, সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডে এসকেএম জুট মিলস এলাকার পাহাড়ে গড়ে তোলা এসএস ইন্ড্রাস্ট্রিজ নামক একটি প্রতিষ্ঠান পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে খবর পেয়ে দুপুরে আমি সেখানে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানকালে দেখা যায়, এসএস ইন্ড্রাস্ট্রিজে টায়ার পুড়িয়ে কয়লা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে কালো তেল। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে বার্নারে টায়ার পোড়ানোর শর্তে তাদেরকে পরিবেশের ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছিল।

এছাড়া ছাড়পত্রে আরও যেসব শর্ত দিয়ে কারখানাটি পরিচালনা করার অনুমতি দেয়া হয় তা মানা হচ্ছে না। ফলে আমরা কারখানার বাইরে তালা দিয়ে এটির কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছি।

 

অভিযানকালে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন ও সীতাকুণ্ড থানার উপ পরিদর্শক (এস.আই) এমরান হোসেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, তারা কারখানা পরিচালনা করার জন্য আমাদের কাছে ছাড়পত্রের আবেদন করেছিল। আমরা বিভিন্ন শর্ত দিয়ে ছাড়পত্র দিয়েছিলাম। কিন্তু এখানে এসে দেখছি তারা কোন শর্তই পালন করেনি। তাই কারখানাটি বন্ধ করা হয়েছে এবং তাদেরকে শুনানির জন্য নোটিশ প্রদান করা হবে। শর্ত লঙ্ঘন করায় শুনানি শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

প্রসঙ্গত, এস.এস ইন্ড্রাস্ট্রিজ নামক এই প্রতিষ্ঠানটি টায়ার পুড়িয়ে কালো তেল তৈরি করতে গিয়ে এলাকায় চরম দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষণ করাসহ এলাকাটি বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে বলে বারবার স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। এর ফলে এটি এর আগেও একাধিকবার সিলগালা ও জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু কিছুদিন পর অজ্ঞাত উপায়ে তারা পুনরায় কারখানাটি চালু করে একই পদ্ধতিতে এটি পরিচালনা করতে থাকে। ফলে এটির মাধ্যমে নিয়মিত পরিবেশ দূষণ হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

 

পূর্বকোণ/সৌমিত্র/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট