কফি চাষ করে কৃষকসহ যে কেউ সফল ও স্বাবলম্বী হতে পারবেন। দেশব্যাপী কফি চাষ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
কৃষক অথবা সাধারণ জনগণ কফি চাষে আগ্রহী হলে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট রাইখালী কাপ্তাইয়ের পক্ষ হতে কফি গাছের চারা এবং সার বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে বলে জানান কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী পরিচালক ড. মো. আলতাফ হোসেন।
তিনি বলেন, কাজুবাদাম ও কফি চাষ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। পার্বত্য এলাকার পাহাড়ের ঢালে কফি চাষের সুযোগ রয়েছে। কাজুবাদাম ও কফি চাষ প্রকল্পের অধীনে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, সিলেট, মৌলভীবাজার, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ এবং শেরপুরে ইতিমধ্যে কাজুবাদাম ও কফির চাষ শুরু হয়েছে। দেশের ৭০ হেক্টর জমিতে ইতিমধ্যে ৭০ হাজার কাজুবাদাম ও কফি চারা লাগানো হয়েছে। কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র রাইখালীতেও বিশাল জমিতে কাজুবাদাম ও কফির আবাদ করা হয়েছে বলে ড. মো. আলতাফ হোসেন জানান।
তিনি বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৭০ হেক্টর জমিতে অবস্থিত ৭০ হাজার কফি গাছে বর্তমানে ৫ মেঃ টন কফি উৎপন্ন হচ্ছে। একটি গাছে তিন কেজি পর্যন্ত কফি হতে পারে। বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা কফির মূল্য ২০০ টাকা। কাজুবাদাম ও কফি চাষে আগ্রহী যে কেউ পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র রাইখালী অথবা দেশের যে কোনো কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় উৎপাদন সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারবেন।
এদিকে মাঠ পর্যায়ে উন্নয়ন বাজেটভুক্ত প্রকল্প এলাকা পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে সৃজিত কফির বাগান পরিদর্শনে আসেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম। কফি বাগান পরিদর্শন করে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে অভিমতে জানান, কফির আবাদ যে পরিমাণ হবে বলে আমরা ধারণা করেছিলাম তার চেয়ে অনেক ভালো ফলন দেখতে পাচ্ছি। প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় কফি ধরে আছে। তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক
পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ