চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বৈদ্যালি করতে বারণ করায় মাতামুহুরী নদীতে ফেলে শিশু হত্যা!

চকরিয়া-পেকুয়া সংবাদদাতা

১০ নভেম্বর, ২০২২ | ১০:৫০ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদী থেকে উদ্ধার শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। বেড়াতে আসা ছোট বোনকে কম বয়সে অনৈতিক কাজ-তাবিজসহ বৈদ্যালি করতে বারণ করে বড় বোন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আপন ভাগিনা আড়াই মাস বয়সী মোহাম্মদ আনাছকে নদীতে ফেলে হত্যা করেছে খালা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে আঁখি রহমান (১৮)।

উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের মধ্যম সুরাজপুরের হোসাইন আলী ও তার স্ত্রী সাকিলা বেগম বলেন, বিএমচর ইউনিয়নের ছৈনারমার ঘোনার ছৈয়দ আকবরের মেয়ে সাকিলার ছোট বোন আঁখি রহমান বেড়াতে আসে ৫ নভেম্বর। সুরাজপুরে বেড়াতে আসার পর থেকে বড় বোনের শ্বশুর বাড়ির একটি রুমে জ্বীনের অজুহাতে ঝাড়-ফুঁক শুরু করে। অল্প বয়সে এমন অনৈতিক কাজ করতে বারণ করে বড় বোন সাকিলা ও দুলাভাই হোসাইন আলী। এতে রাগ ও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তরুণী আঁখি। সেই রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় বুধবার (৯ নভেম্বর) ভোরে ভাগিনা শিশু আনাছকে মুখে কাপড় চাপা দিয়ে মাতামুহুরী নদীতে ফেলে দিয়ে।

এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩ টায় কান্নারত আড়াই মাস বয়সী সন্তানকে দুধ খাইয়ে ঘুম পাড়ান মা সাকিলা। এরপর দুই রুমের ঘরের এক রুমে হোসাইন আলী ও আরেক রুমে আড়াই মাসের সন্তান আনাছ, শিশু মেয়ে মরিয়ম জন্নাত (৪), বেড়াতে আসা ছোট বোন আঁখি ও ননদ খতিজা বেগমকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সাকিলা।

বুধবার ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠে শিশু সন্তানকে পাশে না দেখে সবাইকে ডেকে তোলে সাকিলা। সবাই খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। তাদের কান্না-কাটিতে প্রতিবেশিরাও কি হয়েছে দেখতে আসে। ওই সময় আঁখির পরনের থ্রি-পিসে কাঁদা দেখে সন্দেহ হলে তাকে সবাই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এক পর্যায়ে সে আনাছকে মাতামুহুরী নদীতে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশের কাছে এবং বৃহস্পতিবার আদালতে অভিন্ন স্বীকারোক্তি দেয় বলে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী।

এদিকে, বৃহস্পতিবার ভোরে হোসাইন আলী বাদী হয়ে দায়ের করা এজাহারটি মামলা হিসেবে এন্ট্রি করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে একমাত্র আসামি আঁখি রহমানকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পূর্বকোণ/জাহেদ/মামুন/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট