চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

কক্সবাজারের ‘ঢাকার বাড়ি’ কটেজে রহস্যজনক মৃত্যু

কক্সবাজার সংবাদদাতা

৯ নভেম্বর, ২০২২ | ১১:০৫ অপরাহ্ণ

কক্সবাজার লাইট হাউজস্থ ‘ঢাকার বাড়ি’ নামে একটি কটেজে এক ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। মৃত্যুর বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে সর্বত্র।  বুধবার (৯ নভেম্বর) বিকাল ৫ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই ব্যক্তির নাম বুলু রুদ্র (৪৫)। তিনি চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মৃত সুদর্শন রুদ্রের ছেলে। তার সাথে ছিল দুলাল রুদ্র নামে একব্যক্তি।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে ৫টায় ‘ঢাকার বাড়ি’ কটেজ থেকে অজ্ঞান অবস্থায় এক ব্যক্তিকে বের করেন কয়েকজন ব্যক্তি। ওই ব্যক্তিকে বের করে একটি অটোরিকশা টেক্সিতে তুলে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যায়।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আশিকুর রহমান বলেন, বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে একব্যক্তিকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। ঢাকার বাড়ি নামে একটি হোটেল থেকে তাকে আনা হয়েছে বলে তার এক স্বজন জানান। তবে ওই স্বজনও কৌশলে পালিয়ে যায়। ওই ব্যক্তির শরীরে কোন ধরনের আঘাত দেখা যায়নি। এছাড়া মৃত্যুর কারণও নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশকে জানানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

 

কক্সবাজার সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, কটেজে এক ব্যক্তি অসুস্থবোধ করায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মারা গেছে বলে শুনেছি। তবে অন্য কোন কারণ আছে কিনা জানি না। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

এদিকে কটেজে ওই ব্যক্তি মারা যাওয়ার পরপরই ভাড়াটিয়া ও ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্টরা সবাই আত্মগোপনে চলে যায়।

স্থানীয়রা জানান, কটেজ জোনের ‘ঢাকার বাড়ি’ কটেজটি পতিতাদের আড্ডা হিসেবে পরিচিত। সেখানে নিয়মিত যৌন কর্মীদের বিচরণ। প্রতিনিয়ত সেখানে খদ্দরের যাতায়াত। কটেজটির মালিক রেজাউল করিম রাজু নামে একব্যক্তি। তার কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে কটেজ পরিচালনা করেন আব্বাস, লোকমান, বাবুল ও বশর। তারা নিয়মিত সেখানে পতিতা ব্যবসা চালান। এমনকি তাদের চারজনের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলাও রয়েছে। জেলও খেটেছেন বহুবার। তারপরও তারা ঢাকার বাড়ি কটেজ ভাড়া নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ কর্মকাণ্ড।

 

এ বিষয়ে কটেজ মালিক রেজাউল করিম বলেন, আব্বাসের সাথে কটেজ বিক্রির বিষয়ে আমার বায়না হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে ওনিই ভালো বলতে পারবেন।

আব্বাস বলেন, কটেজটি আমি লোকমানকে উপ-ভাড়া দিয়েছিলাম। হয়ত লোকমানসহ কয়েকজনে মিলে কটেজটি পরিচালনা করছে কয়েকমাস ধরে। লোকমানের মোবাইল বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বশর এই ঢাকার বাড়ি কটেজে জড়িত নন বলে দাবি করেন।

 

পূর্বকোণ/আরাফাত/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট