কক্সবাজারের পেকুয়ায় খোঁজ মেলেনি প্রায় আড়াই মাস ধরে নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী রুমি আক্তারের (১৩)। ৭৩ দিন আগে রাজাখালী থেকে নিখোঁজ হয় ওই স্কুল ছাত্রী।
রুমি আক্তার চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার পুইছড়ি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরুল আমিনের মেয়ে এবং রাজাখালী ফৈয়জুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। চলতি বছরের ২ নভেম্বর মেয়ে নিখোঁজ হওয়ায় পেকুয়া থানায় জিডিটি রুজু করেন বাঁশখালীর পুইছড়ির ছৈয়দ নুরের পুত্র নুরুল আমিন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রুমি আক্তারের পিতা নুরুল আমিন পেশায় শ্রমিক । রুমি আক্তারের মা তছলিমা বেগম নুরুল আমিনের ১ম স্ত্রী হন। নুরুল আমিন ও তছলিমা বেগমের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে। বিচ্ছেদের পর তছলিমা বিদেশে পাড়ি জমান। রুমি আক্তার রাজাখালীতে খালার বাসায় থাকতো। সেখানে থেকে ফৈয়জুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতো। চলতি বছরের ২৫ আগষ্ট বিকেল ২টার দিকে রুমি আক্তার তার খালা হালিমা বেগমের মিয়ার পাড়ার বাড়ি থেকে বাপের বাড়ি বাঁশখালীর পূর্ব পুইছড়ির দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু এরপর থেকে মেয়েটি নিখোঁজ রয়েছে। খালার বাড়ি থেকে বের হলেও ওই ছাত্রী পিতার বাড়িতে পৌঁছেনি।
এ ব্যাপারে নিখোঁজ রুমি আক্তারের পিতা নুরুল আমিন বলেন, আমার মেয়ে আড়াই মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে। মেয়েটি খালার বাসায় থাকতো। সেখানে পড়ালেখা করতো। এখন কোন অবস্থায় আছে আমি জানিনা। আমি আমার মাকে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনসহ সকল স্তরের মানুষের নিকট আকুল আবেদন করছি।
পূর্বকোণ/জাহেদ/রাজীব/পারভেজ