চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মহাশোলের নতুন প্রজাতি

অনলাইন ডেস্ক

৮ নভেম্বর, ২০২২ | ৭:৩২ অপরাহ্ণ

বান্দরবানের সাঙ্গু নদীতে নতুন প্রজাতির মহাশোলের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নেত্রকোনার কংস ও সোমেশ্বরী নদীতে পাওয়া যায় দুই প্রজাতির মহাশোল। এবার বান্দরবানের সাঙ্গু নদীতে নতুন প্রজাতির মহাশোলের সন্ধান পেয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) বিজ্ঞানীরা। এ প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম ‘টরবারাকি’। গতকাল সোমবার বিএফআরআইয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিএফআরআই বিজ্ঞানীরা জানান, মহাশোল বিপন্ন প্রজাতির দামি মাছ। দেশে এত দিন মহাশোল মাছের দুটি প্রজাতির কথা জানা ছিল। ওই দুটি হলো টরটর ও টরপুটিটরা। এদের আবাসস্থল নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী কংস ও সোমেশ্বরী নদী। এরা মূলত পাহাড়ি ঝরনা প্রবাহিত স্রোতস্বিনী জলাশয়ে বাস করে এবং পাথরের গায়ে লেগে থাকা শেওলাজাতীয় খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে। দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানে বান্দরবানের সাঙ্গু নদীতে নতুন প্রজাতির মহাশোলের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দেশে এখন মহাশোলের প্রজাতির সংখ্যা দাঁড়াল তিনটি। আর এ নিয়ে দেশে মিঠা পানির মাছের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৬১টি জাতের।

 

বিএফআরআই সূত্র জানায়, এক বছর আগে সাঙ্গু নদীতে মহাশোলের উপস্থিতির খবর পাওয়া যায়। তখন থেকেই বিএফআরআই রাঙামাটি উপকেন্দ্র থেকে এ বিষয়ে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সহযোগিতায় অনুসন্ধান শুরু করা হয়। সম্প্রতি মহাশোল আকৃতির মাছটির সন্ধান মেলে। মাছটি সংগ্রহের পর এর বাহ্যিক গঠন ও অন্যান্য দিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

গবেষণায় দেখা যায়, এর আঁশ মহাশোল মাছের মতো হলেও পাখনার রং দেশের অন্যান্য প্রজাতির মহাশোলের মতো হলদে নয়। মুখটিও অপেক্ষাকৃত সরু। এর প্রজাতি শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ বারকোডিং করা হয়। এরপর কৌলিতাত্ত্বিক গবেষণায় সংগৃহীত নমুনা মহাশোলের রেফারেন্স জিনোমের সঙ্গে শতভাগ মিল পাওয়া যায়। তখন বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হন যে এটি নতুন প্রজাতির মহাশোল।

 

নতুন এই প্রজাতির মহাশোল বান্দরবানের থানচি উপজেলার সাঙ্গু নদীর আন্দারমানিক, বোরো মদক ও লিগরি এলাকায়, বিশেষ করে যেখানে পানির গভীরতা ও তলদেশে পাথরের পরিমাণ বেশি, সেখানে পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে এই মাছটি ‘ফড়ং’ কিংবা ‘মিকিমাউ’ নামে পরিচিত। এর ওজন ১০ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, মহাশোলের নতুন এ প্রজাতির প্রজনন ও চাষাবাদ নিয়ে শিগগিরই গবেষণা কার্যক্রম শুরু করা হবে। মাছটি দামি ও আকারে বড় হওয়ায় এর বাণিজ্যিক গুরুত্ব রয়েছে। মহাশোলের অন্যান্য প্রজাতি নিয়ে ইনস্টিটিউটের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা এ ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যাবে। তথ্যসূত্র: কালের কণ্ঠ

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট