চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মিয়ানমারের বিজিপির সঙ্গে ৫ ঘণ্টা বৈঠক বিজিবির

টেকনাফ সংবাদদাতা

৩০ অক্টোবর, ২০২২ | ৫:১৫ অপরাহ্ণ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক শেষ হয়েছে।

রবিবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় নাফ নদ সংলগ্ন সীমান্তে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে বিজিবির নির্মিত সাউদার্ন পয়েন্ট সম্মেলন কক্ষে পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে ফিরে গেছে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল।

 

বৈঠকে সীমান্ত এলাকায় উদ্ভূত পরিস্থিতি ছাড়াও অবৈধভাবে মিয়ানমার নাগরিকদের অনুপ্রবেশ ও মাদক পাচার রোধ সম্পর্কে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। দুটি বন্ধু প্রতীম রাষ্ট্রের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ, আস্থা এবং নির্ভরতার পরিবেশ তৈরির জন্য ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্যও গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

 

এছাড়াও সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর হেলিকপ্টার উড্ডয়ন, সীমান্ত এলাকায় ক্ষুদ্রাস্ত্র এবং ভারী অস্ত্রের ফায়ারিং, জানমালের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান কর্তৃক তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। সীমান্তে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখা, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে চলমান সংঘাতের জের ধরে যাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোন গোলা পতিত না হয় সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখার বিষয়ে বিজিপিকে আহবান জানানো হয়। এছাড়াও বিজিবি আশা করে যে, মিয়ানমারের চলমান অভ্যন্তরীণ সংকট অতি শীঘ্রই সমাধান হবে এবং সীমান্তে চলমান বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতি দ্রুত নিরসন হবে।

 

এর আগে সকাল ৯টার দিকে দু’টি স্পিডবোটে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে পৌঁছান।

 

বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন, ‘বৈঠকে দু’দেশের বিজিবি-বিজিপির মধ্যে সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সাম্প্রতিক ইস্যুসহ বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠকের বিষয়ে বিকালে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।’

 

বিজিবি জানায়, শাহপরীর দ্বীপে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখারের নেতৃত্বে নয় সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এবং মিয়ানমার মংডুর এক নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাও না ইয়ান শোর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

 

গত আগস্টে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সেনাবাহিনী এবং রাখাইন প্রদেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টারশেল বিস্ফোরণ। ২৮ আগস্ট মিয়ানমারের ছোড়া দুটি মর্টারশেল এসে পড়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে। সীমান্তে গোলাগুলিতে হতাহতের ঘটনায় একাধিকবার মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ।

 

এ অবস্থায় গত ১০ অক্টোবর পরিস্থিতি দেখতে সীমান্ত পরিদর্শনে আসেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট