চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘ঝড়কম্প’ নতুন প্রাকৃতিক দুর্যোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৮ অক্টোবর, ২০১৯ | ৯:৫৯ অপরাহ্ণ

প্রকৃতির দুই ভয়ংকর দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিকম্প। দুর্যোগ দুটির সংমিশ্রণ আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা এর নামও দিয়েছেন ‘ঝড়কম্প’।জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার সাময়িকীতে চলতি সপ্তাহের প্রকাশিত এক গবেষণা অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ও ঝড়ের সময় সমুদ্রতলের ঝাঁকুনি সাড়ে ৩ মাত্রার ভূমিকম্পের কম্পনের মতো হতে পারে এবং তার স্থায়ীত্ব হতে পারে প্রায় কয়েক দিন। এ কম্পনগুলো মোটামুটি সবসময়েই ঘটে যা আগে নজরে আসেনি। কারণ সেগুলোকে বিবেচনা করা হয়েছিল ভূকম্পের পটভূমির গোলমাল হিসেবে।

স্টেট ইউনিভার্সিটির ভূকম্পনবিদ ওয়েনইওয়ান ফ্যান বলেন, ঝড়কম্প  উদ্ভট এক বিষয়। তবে আপনার ক্ষতি করতে পারে তা এমন কিছু নয়। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের সময় তো আর কেউ সমুদ্রতলে দাঁড়িয়ে থাকবেন না। তিনি বলেন, ঝড়ের ফলে সমুদ্র দানবীয় ঢেউ সৃষ্টি হয় এবং তা আরেক ধরনের ঢেউ তৈরি করে। দ্বিতীয় ধরনের ঢেউগুলো পরে নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় সমুদ্রতলে আঘাত হানে এবং এতে তৈরি হয় ঝাঁকুনি। যেখানে বিশাল মহাদেশীয় ঢাল ও অগভীর সমতল ভূমি আছে এটি শুধুমাত্র সেখানেই হয়।

ফ্যান জানান, ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তার দল মেক্সিকো উপসাগর ও ফ্লোরিডা উপকূল, নিউ ইংল্যান্ড, নোভা স্কটিয়া, নিউফাউন্ডল্যান্ড, ল্যাব্রাডোর ও ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় ঝড়কম্প হয়েছে১৪ হাজার ৭৭টি।

গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের ঘূর্ণিঘড় ইক এবং ২০১১ সালের ঘূর্ণিঝড় আইরিনের ফলে অনেকগুলো ঝড়কম্প সৃষ্টি হয়।

এ ধরনের ঝাঁকুনিগুলো এমন তরঙ্গ তৈরি করে যা ভূকম্পনবিদরা ভূমিকম্প নজরদারি করার সময় সাধারণত নজরে আনেন না। যে কারণে এগুলো এত দিন আড়ালে থেকে গিয়েছিল বলে জানান ফ্যান।

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট