অগ্রহায়ণের শেষাংশে পৌষ মাসের হাতছানি। সারাদেশে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। পাশাপাশি কমেছে বাতাসের গতি। এতে বাতাসে থাকা জ্বলীয় বাষ্পের সঙ্গে আর্দ্রতা মিশে ঘন কুয়াশার সৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্ততর জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশঅবস্থান করছে ভারতের বিহার ও এর আশেপাশের এলাকায়। এর প্রভাবে সারাদেশের আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও হালকা ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা থাকতে পারে।
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রংপুর বিভাগের তেঁতুলিয়ায় ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইভাবে ময়মনসিংহ বিভাগে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চট্টগ্রামে ১৭ দশমিক ৫, সিলেটে ১৭ দশমিক ৪, রাজশাহীতে ১৪ দশমিক ৪, রংপুরে ১৬ দশমিক ৪, খুলনায় ১৭ এবং বরিশালে ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান জানান, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে একটি পশ্চিমা লঘুচাপ প্রবাহিত হচ্ছে। এটি আস্তে আস্তে পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ কারণে দেশের একেবারে উত্তরে হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া অন্য এলাকায় কুয়াশা পড়বে। ‘বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেলে মাটিতে থাকা ধূলিকণা ওপরে উঠে আসে। এতে ঘন কুয়াশার সৃষ্টি হয়। শীতকালে এই ধরনের কুয়াশা স্বাভাবিক।’
এদিকে নভেম্বর শীত শীত অনুভূতি দিয়ে শেষ হলেও চলতি মাসের শেষে আসছে শৈত্যপ্রবাহ। এ সময় একটি বা দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবার শঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসেও বলা হয়েছে, ডিসেম্বর মাসে স্বাভাবিক মাত্রায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই মাসে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে আসবে। মাসের শেষ দিকে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু বা মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
পূর্বকোণ/এম-আরপি