চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

গরু-মহিষ-ছাগলে জমজমাট সরকারহাট

নিজস্ব সংবাদদাতা, আনোয়ারা

৩ জুলাই, ২০২২ | ১০:৩৬ অপরাহ্ণ

এ বছর আগেভাগেই জমে উঠেছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পশুর বাজার আনোয়ারার সরকারহাট।বাজারটিতে আনোয়ারা ছাড়াও বাঁশখালী, পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতাকানিয়া, কর্ণফুলী, কক্সবাজার জেলার পেকুয়াসহ চট্টগ্রাম নগর থেকে ক্রেতারা এসে কোরবানির পশু ক্রয় করে। এছাড়া পাইকারি ব্যবসায়ীরাও কোরবানির পশু কিনতে চলে আসে এ বাজারে।

শুক্রবার ঘুরে দেখা গেছে, গরু-ছাগলের পাশাপাশি বাজারে এসেছে প্রচুর পরিমাণে মহিষ। বেচাকেনাও ভালো। তবে এটি আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এখানে কোরবানি বাজার ছাড়াও সারাবছর ছাগল বিক্রি হয়। খুচরা বিক্রেতারা সরকার হাট থেকে ছাগল কিনে বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করেন। এ হাটের পাইকারি ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছাগল কিনে মজুত করে রেখেছেন। বাজারও বেশ জমে উঠেছে।

জানা গেছে, সারা বছর সরগরম থাকে সরকারহাট পশুর বাজার। সপ্তাহের সোম ও শুক্রবার বাজারের নির্ধারিত দিন ছাড়াও এখন পুরো সপ্তাহ জুড়েই চলছে পশু বেচাকেনা। কোরবানির ঈদের দশদিন আগ থেকেই শুরু হয়েছে এ বেচাকেনা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১১ ইউনিয়নে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে প্রায় ৩০টি হাটে গবাদি পশু বেচাকেনা হয়। এসব হাট থেকে স্থানীয় কোরবানিদাতারা ছাড়াও বেপারিরা গরু, ছাগল ও মহিষ ক্রয় করে চট্টগ্রামসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বিক্রি করেন। উপজেলায় ছোটবড় মিলে শতাধিক খামার রয়েছে। এসব খামারে এবার ৬৩ হাজার ৬৬৬টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যার মধ্যে ৪৭ হাজার ২৮১টি গরু, ২ হাজার ৬৩০টি মহিষ, ১৪ হাজার ছাগল আর ২৫০টি ভেড়া রয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকেও এসব হাট-বাজারে কোরবানির পশু নিয়ে আসে বেপারিরা। এতে করে এ বছর পশুর দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে থাকবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নইফা বেগম বলেন, আনোয়ারায় কোরবানি দাতারা কোরবানের পশু নিয়ে সংকটে পড়ার সম্ভাবনা নেই। স্থানীয় খামারিদের পশু ছাড়াও কিছু বেপারি বিভিন্ন জেলা থেকে কোরবানের পশু নিয়ে আসে বাজারে।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে উপজেলায় ৩০টি পশুর হাট বসে। এসব হাটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিনও রাখা হয়েছে বাজারে। ক্রেতা-বিক্রেতারা যেন প্রতারিত না হয়, সেজন্য মোবাইল কোর্ট টহলে থাকবে।

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট