চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

পাগড়ি টিকে আছে যেসব দেশে

২ জানুয়ারি, ২০২০ | ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ

ধর্ম ছাড়াও দেশজ সংস্কৃতি হিসেবে বিভিন্ন দেশে পাগড়ি প্রথা বিভিন্ন পন্থায় টিকে আছে।

(গত সংখ্যার পর)
বাংলাদেশ : বাংলাদেশে আলেম সমাজ, পীর-দরবেশরা ধর্মীয় রীতি হিসেবে সাধারণত পাগড়ি পরিধান করে থাকে। কিন্তু সর্বস্তরের মানুষের মধ্যেও পাগড়ির প্রচলন আছে! বিয়ের সময় বরের বিশেষ ধরনের পাগড়ি পরিধান করা আমাদের দেশের সংস্কৃতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন বিয়ের সময় পাগড়ি পরতে হয়- এ বিষয়ে নানা মুনির নানা কথা আছে। বিয়ের বর যখন পাগড়ি মাথায় দিয়ে কনেবাড়ি যায়, তখন সে রাজা। কারণ পাগড়ি রাজা ও সম্রাটদের মাথার শোভাবর্ধন করত। তাই বর পাগড়ি পরিধান করে। রাজাদের পাগড়িকে বলা হতো মুকুট। মুসলমানদের পাগড়ির সঙ্গে একটি ঐতিহ্যগত সম্পর্ক রয়েছে। প্রায় প্রত্যেক মুসলিম শাসকই পাগড়ি পরতেন। পরবর্তী সময়ে মুসলিম সামরিক কর্মচারী ও বেসামরিক লোকজনও পাগড়ি পরতে থাকে। জনশ্রুতি আছে, বাদশাহ সিকান্দার তাঁর মাথায় গজানো শিং লুকিয়ে রাখার জন্য পাগড়ি ব্যবহার করতেন।
শুধু মুসলিম শাসকরাই নন, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের মধ্যেও পাগড়ি ব্যবহারের প্রচলন ছিল। হারুন-অর-রশীদের সময় খ্রিস্টানদের পাগড়ি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে শর্ত ছিল যে তারা শুধু হলুদ রঙের পাগড়ি ব্যবহার করতে পারবে। সাদা বা অন্য কোনো রঙের পাগড়ি ব্যবহার করতে পারবে না। অন্যদিকে ফাতেমীয় বংশের খলিফা হাকিম খ্রিস্টানদের কালো রঙের পাগড়ি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন।
এ দীর্ঘ আলোচনা থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে বিশেষ পদ্ধতিতে পাগড়ি পরিধান করা মহানবী (সা.)-এর সুন্নাত। এটি নিছক আরবের বা অন্য কোনো জাতি-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি নয়। [সূত্র : ইন্টারনেট] (শেষ)

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট