চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ব্যক্তিগত সমস্যা কি অফিসের বসকে জানাবেন?

১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৩:০৬ পূর্বাহ্ণ

একজন ভালো ম্যানেজার অবশ্যই সেই কর্মচারীকে তার সমস্যার ব্যাপারে জানতে চাইবেন। যদি তারা কারণগুলো না জানেন তাহলে ভাববেন হয় আপনি কাজে ফাঁকি দিচ্ছেন অথবা আপনি আপনার কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।

(গত সংখ্যার পর)

তবে সমস্যাগুলো যদি পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ ভাবে আপনার প্রতিদিনের কাজে ব্যাঘাত ঘটায় তাহলে আপনার উচিত হবে তা নিয়ে কথা বলা। এই ধরনের সমস্যা নিয়ে কথা বললে আপনার ম্যানেজার নিজেও চিন্তা করবেন যে, আপনি আপনার কাজের প্রতি মনোযোগী এবং কাজের কোনো প্রকার ব্যাঘাত চান না।

আপনার বস আসলে কী পছন্দ করেন : কর্মক্ষেত্রে একটি গন্ডির মধ্যে থাকা ভালো। তবে যদি আপনি জেনে থাকেন যে, আপনার বস কর্মচারীদের ব্যক্তিগত সমস্যাকে তার কাজের সাথে তুলনা না করে শুধু তার কাজকে মূল্যায়ন করে তাহলে সমস্যার কথা নির্দ্বিধায় বলতে পারেন। তবে কোনো সমস্যা নিয়ে কথা বলার আগে, যে ব্যক্তির সাথে কথা বলবেন তার ব্যক্তিগত বিষয়গুলো কিছুটা হলেও জেনে নেওয়া ভালো। কারণ যিনি নিজেই অনেক সমস্যার মধ্যে আছেন তিনি নিজে আপনার সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। যেকোনো ব্যক্তিগত বিষয় শেয়ার করার আগে নিজে যাচাই করুন আপনি নিজে তাকে কতখানি বিশ্বাস করেন এবং সে আপনাকে কতখানি বিশ্বাস করে, বিশেষ করে আপনার কলিগদের ক্ষেত্রে। অবশ্যই বিশ্বাসী কাউকে নিজের ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলবেন তা না হলে আপনার সমস্যা তার কাছে হাস্যকর মনে হবে অথবা তার গল্প করার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। তবে কলিগদেরকে কোনো কিছু বলার থেকে সরাসরি নিজের বসকে বলা ভালো। কারণ আপনার বস আপনার সমস্যার ব্যাপারে যদি অন্য কোনো মানুষের থেকে জানতে পারেন তাহলে সেটা একটি অফিস কর্মক্ষেত্রের জন্য ভালো হবে না। তার চেয়ে আপনি সরাসরি আপনার বসকেই সমস্যার কথা খুলে বলুন। অন্যথায় আপনার ব্যক্তিগত সমস্যা সারা অফিসের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠবে। এই ধরনের কিছু হওয়ার থেকে নিজের কথা নিজের মধ্যে রাখাই ভালো হবে।
কতটুকু কথা শেয়ার করবেন : মনে করুন সকল চিন্তা ভাবনার পর আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে আপনার ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে বসের সাথে কথা বলবেন।

কিন্তু ঠিক কতটুকু সমস্যার কথা বলবেন সেটা ঠিক করেছেন কি? মূলত আপনি বসকে কতটুকু কথা বলবেন সেটা নির্ভর করে আপনাদের সম্পর্কের ওপর। যেমন, আপনি আপনার এমন কোনো অসুস্থতার কথা বসকে বলতে পারেন যে রোগে আপনি বহুদিন ধরে ভুগছেন। এটা বলার কারণ হলো যাতে করে সে আপনার উপর থেকে কাজের চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে, আপনি যাতে নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন তার জন্য ছাড় দিতে পারে অথবা কোনো কাজ দেওয়ার আগে তা জমা দেওয়ার তারিখটা পিছিয়ে দিতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আপনার শারীরিক অবস্থার বা ট্রিটমেন্টের সব বিবরণ আপনার বসকে বলার দরকার পড়ে না। অথবা আপনার পারিবারিক সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। আপনি সেই অবস্থা থেকে বের হতে চাচ্ছেন। তার জন্য সময় দরকার, কাজ থেকে বিরত থাকা দরকার। এখন যদি আপনি আপনার বসকে বলেন এই কারণে আপনার প্রজেক্ট জমা দিতে দেরি হবে, তাহলে তো আর তিনি সেটা শুনবেন না। কারণ আপনার সম্পর্কগুলো আপনার নিতান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। এগুলো নিয়ে কখনোই অফিসের বসের সাথে কথা বলা ঠিক নয়। এটার প্রভাব খারাপ হতে পারে। অনেক সময় অফিসের বসকে ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলার দরকার হয়। এতে করে কাজের ক্ষেত্রে সহযোগিতা পাওয়া যায়। আরেকটা জিনিস মাথায় রাখা দরকার যে, বস বা ম্যানেজারকে সমস্যার কথা বলার মূল কারণ এর মাধ্যমে যাতে একটি

সাময়িক সমাধান পাওয়া যায়। আপনি মাথায় দুশ্চিন্তা নিয়ে তো আর অফিসের কাজ করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে অফিস কর্তৃপক্ষকে কিছুটা সহনশীল হওয়া দরকার। (শেষ) [সূত্র : ইন্টারনেট]

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট