চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

রহস্যময় সোনার গন্ডার

পূর্বকোণ ডেস্ক

৮ মে, ২০১৯ | ১২:২৫ অপরাহ্ণ

তানজানিয়া থেকে প্রায় ২০০০ মাইল দূরে অবস্থিত মাপুঙ্গুবে । ১২২০ থেকে ১২৯০ পর্যন্ত মাপুঙ্গুবে রাজত্ব স্থায়ী ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ত্রয়োদশ শতকের এই স্বর্ণগন্ডারটি মাপুঙ্গুবে আমলের।

১৯৩৪ সালে প্রথম এই সোনার তৈরি গন্ডারের অস্তিত্বের কথা প্রকাশ্যে আসে।এই সোনার গন্ডারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা ইতিহাস। সোনার তৈরি আস্ত গন্ডারটি আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকেই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য।

আফ্রিকার সর্বোচ্চ সম্মানের মধ্যে প্ল্যাটিনাম অ্যাওয়ার্ড পুরস্কারেও রয়েছে এই স্বর্ণ গন্ডারের ছবি। নেলসন ম্যান্ডেলা পেয়েছিলেন এ পুরস্কার।

ইতিহাসবিদরা বলেছিলেন কাঠের তৈরি কাঠামোর উপর সোনার কয়েকটি পাত হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে বসিয়ে তৈরি হয়েছিল এটি।

বর্তমান  সোয়াহিলি উপকূল দিয়ে মাপুঙ্গুবে সোনার বাণিজ্য চলতো সেই সময়। হাতির দাঁত, পশুর চামড়া, কাঁচের পুঁতি লেনদেন হত মাপুঙ্গুবের অন্তর্গত বাম্বানদিয়ানালো থেকে। এসবের অস্তিত্ব ছিল ১০৩০-১০২০ পর্যন্ত। কিন্তু ১৩ শতকে সোনাই হয়ে উঠল বাণিজ্যের মুখ্য আকর্ষণ।

মাপুঙ্গুবে পাহাড় থেকে প্রিটোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে এক রাজার সমাধি খননের সময় উদ্ধার হয় গন্ডারটি। গন্ডার ছাড়াও ২৭টি জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী, সোনার কুমির, মোষ ও বিড়াল উদ্ধার হয়। সোনার তৈরি রাজদণ্ড, বাজুবন্ধ, বালা, পুঁতি, মুকুটও উদ্ধার হয়েছিল। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল গন্ডারটি। ১৯৯৯ সালে ইউরোপের জাতীয় সম্পদের মর্যাদা দেওয়া হয় এটিকে।

তৎকালীন এশিয়া ও মিশরের সঙ্গে মাপুঙ্গুবের নানারকম বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল। গন্ডারটি কোনও দেশ থেকে বাণিজ্যের মাধ্যমে এসেছিল, নাকি আফ্রিকার শক্তির প্রতীক গন্ডারটি সেখানকারই কোনও শিল্পীর তৈরী তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে ইতিহাসবিদদের মধ্যে। সমাধির সঙ্গে গন্ডার দেওয়ার কোনও রীতি ছিল কি না, তাও অজ্ঞাত। তবে ইউরোপীয়দের অন্তত হাজার বছর আগে থেকে কৃষ্ণাঙ্গরা ওই এলাকায় বসবাস করতেন বলে নিশ্চিত করেন প্রত্নতাত্ত্বিকরাও। এখনও এই গন্ডার নিয়ে গবেষণা চলছে।

তথ্য সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট