চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সকল ধর্মে রোজা চিরায়তভাবে ফরজ

রায়হান আজাদ

২৫ মার্চ, ২০২৩ | ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

আল কুরআনে আল্লাহ রব্বুল আলামীনের আদেশ, “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের প্রতি সিয়াম ফরজ করা হয়েছে যেভাবে ফরজ করা হয় তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর; যেন তোমরা তাকওয়া তথা খোদভীতির পথ অনুসরণ করতে পারো”- সুরা আল বাকারা আয়াত ঃ ১৮৩।

আল কুরআনের এ আয়াত দ্বারা বুঝা যায়, রোজা মুসলমানদের উপর ঐতিহ্যগতভাবে ফরজ। তাফসীরে মা‘আরেফুল কুরআনে এসেছে, “আল কুরআনের উদ্ধৃতি- ওয়াল্লাযিনা মিন ক্বাবলিকুম- ‘যারা তোমাদের পূর্বে ছিল’ কথাটি ব্যাপক অর্থবোধক। এর দ্বারা আদি মানব হযরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম পর্যন্ত সকল উম্মত এবং শরীয়তকেই বুঝায়। এতে বুঝা যায়, নামাজের ইবাদত থেকে যেমনিভাবে কোন উম্মত বা শরীয়তই খালি ছিল না, তেমনি রোজাও সবার জন্য ফরজ ছিল। আয়াতের মধ্যে শুধু বলা হয়েছে যে,- রোজা যেমন মুসলমানদের ওপর ফরজ করা হয়েছে তেমনি পূর্ববর্তী উম্মতগণের উপরও ফরজ করা হয়েছিল। এ কথা দ্বারা এ তথ্য বুঝায় না যে আগেকার উম্মতগণের রোজা সমগ্র শর্ত ও প্রকৃতির দিক দিয়ে মুসলমানদের উপর ফরজকৃত রোজারই অনুরূপ ছিল। যেমন, রোজার সময়সীমা, সংখ্যা এবং কখন তা রাখা হবে, এসব ব্যাপারে আগের উম্মতদের রোজার সাথে মুসলমানদের রোজার পার্থক্য হতে পারে, বাস্তব ক্ষেত্রে হয়েছেও তাই।” এ সম্পর্কে এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার লেখক খুব সুন্দর তথ্য দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘রোজা কালচার ভেদে অনেকটা পৃথক কিন্তু এমন কোন ধর্মের নাম পাওয়া যায় না যে ধর্মে তাদের ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী মোটামুটিভাবে রোজাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। হিন্দু শাস্ত্রে উপবাস ব্রত পালনের নির্দেশ রয়েছে। তাই তারা প্রতি মাসের একাদশী ও দ্বাদশী  তিথিতে উপবাসব্রত পালন করে থাকে। কোন কোন ব্রাহ্মণ কার্তিক মাসের প্রতি রবিবারও উপবাস পালন করে। অগ্নিপূজক পারসিকদের ধর্ম যাজকগণ রোজা রাখে। তাদের রোজা মানে বিকৃত রোজা। কেবল উপবাস থাকা ছাড়া আর কিছুই নয়। এদের রোজায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ফুটে উঠে না।

 

হযরত আদম আলাইহিস সালামের উপর প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের তিনটি রোজা ফরজ ছিল। হযরত মুসা আলাইহিস সালামের উম্মতের উপর আশুরা এবং সপ্তাহের রোজা ছাড়াও আরো ক‘দিন রোজা ফরজ ছিল। হযরত মু‘আজ বিন জবল রদিআল্লাহু আনহু বলেন, মহানবী বলেছেন- ‘হযরত নূহ আলাইহিস সালাম থেকে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পূর্ব যুগ পর্যন্ত আশুরা এবং প্রতি মাসে তিনটি রোজা নির্ধারিত ছিল। রমজান মাসে রোজা রাখার হকুম আসলে এ বিধান মানছুখ (রহিত) হয়ে যায়’।-আমিন।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট