‘স্কোয়াওকজিলা’ প্রাচীন যুগের তোতা বা টিয়া প্রজাতির একটি পাখির ডাকনাম । লম্বায় ছিল ৩ ফুট ওজনের ১৬ পাউন্ডের বেশি এই পাখির প্রতিদিনকার খাবার ছিল আস্ত একটা ভেড়া ।

বুধবার নিউজিল্যান্ডে প্রায় এক দশক আগে পাওয়া ফসিল নিয়ে গবেষণা করে এ তথ্য জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা । প্রথমদিকে ফসিলটি ঈগল না টিয়া পাখির এ নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল।

বিজ্ঞানীরা জানান, এটি তোতা বা টিয়া প্রজাতির পাখি, যার ডাকনাম ‘স্কোয়াওকজিলা’। বিজ্ঞানীরা পাখির দুটি পায়ের হাড়ের ওপর ভিত্তি করে এর বিশাল আকৃতি সম্পর্কে অনুমান করেছেন। তারা দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার জাদুঘরে রাখা একটি পাখির কঙ্কালের সঙ্গে এটির তুলনা করেছেন। পাখিটি সম্ভবত উড়তে পারত না তার বেশি ওজনের জন্য। আস্ত একটা ভেড়া ছিল এদের প্রতিদিনকার খাবার। পেট ভরাতে নাকি অনেক সময় নিজের প্রজাতির অন্য তোতাও খেয়ে ফেলত সে।

২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের সেন্ট বাথানসে মাটি খুঁড়ে এ জীবাশ্ম পাওয়া যায়। সেখানে আরও নানা প্রজাতির পাখির হাড় ছিল। ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালেওন্টোলজিস্ট ট্র্যাভর ওয়ার্থির গবেষণামূলক কাজের সময় স্নাতকের এক শিক্ষার্থী হাড়গুলোকে পুনরায় আবিষ্কার করেন।

পূর্বকোণ/তাসফিয়া