চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি

অনলাইন ডেস্ক

২৩ আগস্ট, ২০২২ | ১২:১৬ পূর্বাহ্ণ

পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের মনে রাখতে হবে, পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্যাকাল্টি বেইজড প্রশ্নও পড়তে হবে। অনেকেই চাকরির জন্য শর্টকাট পড়তে গিয়ে চাকরির লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন না। এতে হতাশা বেড়ে যায়। প্রথমে সামর্থ্য অনুযায়ী লক্ষ্য নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী পড়া চালিয়ে যাওয়া উচিত।

বর্তমান সময়ে যেকোনো পরীক্ষায় আগের চেয়ে প্রতিযোগিতা অনেক বেড়েছে। তা চাকরির পরীক্ষায়ই হোক কিংবা স্কলারশিপ, ফেলোশিপ বা ভার্সিটি ভর্তির পরীক্ষায়ই হোক। বদলে গেছে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ধরন। তাই এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বদলাতে হবে নিজেকেও। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তাহলেই আসবে সাফল্য। বর্তমানে শুধু সরকারি চাকরিরই এক বিশাল পরিসর রয়েছে আমাদের দেশে। একজন চাকরিপ্রার্থী বিসিএস, সরকারি ব্যাংক, প্রাইমারি এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ভিত্তিক চাকরিসহ অন্যান্য সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিতে পারেন। প্রায় বছরজুড়েই হতে থাকে এসব সরকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। তবে এসব চাকরির পরীক্ষার মধ্যে মূল পার্থক্য হলো পরীক্ষার ধরন এবং নাম্বার বণ্টনে। এ বিষয়ে অবশ্যই পরীক্ষার্থীর বিশদ ধারণা নিয়ে নিতে হবে। চাকরিপ্রার্থীসহ দেশের অনেক ছাত্রছাত্রীও সঠিক উপায়ে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার গাইডলাইনের অভাবে ভুগে থাকেন। এমনকি অনেকেই সঠিক উপায়ে প্রস্তুতি না দেওয়ার দরুন একের পর এক পরীক্ষা দিয়েও সাফল্যের ছোঁয়া পাননি। শুধু কঠোর পরিশ্রমই নয়, নির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং গোছানো প্রস্তুতি এই তিনটির সংমিশ্রণেই আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।

অনেকেই চাকরির জন্য শর্টকাট পড়তে গিয়ে চাকরির লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন না, এতে হতাশা বেড়ে যায়। প্রথমে সামর্থ্য অনুযায়ী লক্ষ্য নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী পড়া চালিয়ে যেতে হয়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে প্রতিনিয়ত। সরকারি- বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, তথ্য ও প্রযুক্তি বিজ্ঞান এবং সাধারণ জ্ঞানের ওপর প্রশ্ন হয়ে থাকে।

গন্তব্য ঠিক করুন: প্রস্তুতি শুরুর প্রাথমিক পর্যায়েই আপনার গন্তব্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন। অনেকেই আছেন যারা মাত্র একটি চাকরিকে মাথায় রেখে তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আবার অনেকে একাধারে বেশ কিছু লক্ষ্য ঠিক করে রেখেছেন। যদিও এটা সম্পূর্ণভাবে প্রার্থীর মানসিক ক্ষমতার ওপর নির্ভর করছে। বিভিন্ন চাকরির মাঝ থেকে নির্দিষ্ট একটি বা দুটি চাকরি বেছে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করুন। পাশাপাশি এমন দুটি অথবা তিনটি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকুন যাদের সিলেবাসের মধ্যে মিল রয়েছে।

পরীক্ষার ধরন: পছন্দের চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য হলে তার সিলেবাস এবং প্রশ্নের ধরণ সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নিন। এতে করে আপনাকে কী কী বিষয়ের ওপর প্রস্তুতি নিতে হবে, তা জানতে পারবেন। একটি সর্বজনীন প্ল্যান করে নিন, যা সকল বিষয়ের ওপর সমান গুরুত্ব দিতে সহায়তা করবে।

কীভাবে পড়তে হবে: এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, কীভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞানের ওপর জোর দিন বেশি। মুখস্থ নয়, পড়তে হবে বুঝে। দ্রুত অধ্যায় শেষ করার চিন্তা না করে সময় দিয়ে মনে রাখার চেষ্টা করতে হবে বেশি বেশি। প্রতিটি বিষয়কে আলাদা সময়ের স্লটে ভাগ করে নিতে হবে। নিজের সময়, সুযোগ ও সাধ্যমতো একটা প্ল্যান করে পড়তে হবে। আর কেউ যদি চাকরির পাশাপাশি প্রস্তুতি নিতে চান, পুরো অবসর সময় সম্পূর্ণ কাজে লাগাতে হবে।

মক টেস্ট: সরকারি চাকরির একটি সামগ্রিক প্রস্তুতির পাশাপাশি নিয়মিত মক টেস্ট দেওয়া আপনাকে অন্যদের থেকে চাকরি পাওয়ার এই দৌড়ে এগিয়ে রাখবে।

প্রতিদিন মক টেস্টে অংশগ্রহণ আপনার উত্তর দেওয়ার গতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

ঘড়ি ধরে মক টেস্ট দিলে আপনি কোন কোন বিষয় এর মাধ্যমে শুরু করবেন, সে সম্পর্কে ধারণা পাবেন।

ইংরেজির দক্ষতা: ইংরেজি ভাষার ওপর দখল আনার অন্যতম একটি জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে রোজ ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা পড়া, যা আপনার ভোকাবুলারি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গ্রামাটিক্যাল ভুলের সম্ভাবনাও কমিয়ে দেবে। নিয়মিত ইংরেজি দৈনিক পড়ার অভ্যাস আপনাকে বাক্য গঠন, এবং গ্রামাটিক্যাল ভুল শুধরে নিতে সহায়তা করবে।

সাধারন জ্ঞান: প্রায় প্রতিটি সরকারি চাকরির পরীক্ষাতেই সাধারণ জ্ঞানের জন্য ভালো নম্বর বরাদ্দ থাকে। এ ক্ষেত্রে মনমতো ফলাফলের জন্য নিয়মিত দৈনিক পত্রিকা, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পড়ার কোনো বিকল্প নেই। সূত্র: সমকাল

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট