চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

নতুন রূপে লালদিঘি মাঠ

ইমরান বিন ছবুর 

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ১২:২৮ অপরাহ্ণ

এক সময়ের ‘কার ও মাইক্রো বাসের স্ট্যান্ড’ হিসেবে ব্যবহৃত ঐতিহাসিক লালদিঘি মাঠ নতুন রূপে সেজেছে। বৃটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস, ঐতিহাসিক ছয় দফার ৬টি ছবি ও বর্তমান সরকারের বিভিন্ন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের ছবি ও অংকন দিয়ে সাজানো হয়েছে ঐতিহাসিক এ মাঠকে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। আগামী ৭ মার্চ শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ঐতিহাসিক লালদিঘি মাঠের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। শিক্ষা উপ-মন্ত্রীর আগ্রহে ‘নগরীর লালদিঘি মাঠ সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধন’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার এই প্রকল্প পরবর্তীতে ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৪ কোটি টাকা।

গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১ হাজার ২৫০ বর্গফুট দেয়ালের দুইপাশে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা লেখা রয়েছে। মাঝখানে ঐতিহাসিক ৬ দফার ৬টি ছবি। দেয়ালের সামনে ৫০ ফুট বাই ২৫ ফুটের বিশাল মুক্তমঞ্চ। এই মুক্তমঞ্চের পূর্বপাশের দেয়ালে টেরাকোটার ম্যুরালের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে বৃটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জালাল উদ্দিন জানান, শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের আগ্রহে ঐতিহাসিক ‘লালদিঘি মাঠ সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধন’ নামে গত বছর একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। এ প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী মার্চের ৭ তারিখ শিক্ষা উপ-মন্ত্রীর তা উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিশু-কিশোররা খেলাধুলার পাশাপাশি বৃটিশবিরোধী আন্দোলন, ৬ দফার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামের ইতিহাস জানতে পারবে। এছাড়াও মাঠের পূর্বপাশে বাচ্চাদের জন্য একটি কিডস জোন থাকবে।  প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, লালদিঘির মাঠের দুইপাশে লোহার নিরাপত্তা বেষ্টনি, দুটি ২০ ফুটের সাধারণ ফটক, ১টি ভিআইপি ফটক, বসার জন্য ৩৯টি বেঞ্চ। প্রতি বেঞ্চে চার থেকে পাঁচজন বসতে পারবে। ৩৪৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে ওয়াকওয়ে, ১৮টি টেরাকোটার ম্যুরালের মাধমে বৃটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস। শিশুদের জন্য থাকছে ১টি মিনি পার্ক বা কিডস জোন। মাঠকে দৃষ্টিনন্দন করতে বিভিন্ন গাছ ও সোলার প্যানেল দিয়ে লাইটিংও করা হয়েছে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট