চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

৪৩ তম জাতীয় এথলেটিক্স প্রতিযোগিতা

বাংলাদেশ নৌবাহিনী সবার সেরা

ভাঙ্গলো মিলনমেলা, দেখা হবে পরের বছরে

নিজস্ব ক্রীড়া প্রতিবেদক

১৯ জানুয়ারি, ২০২০ | ৩:৩৬ পূর্বাহ্ণ

পদক তালিকা

সংস্থা স্বর্ণ রৌপ্য ব্রোঞ্জ

নৌবাহিনী ২১ ১৮ ৮
সেনাবাহিনী ১৪ ১৪ ১৪
আন. ও ভিডিপি ১ ১ ০
বাংলাদেশ জেল ০ ২ ৪
বিজেএমসি ০ ১ ৩
বিমানবাহিনী ০ ০ ৫
সিলেট ০ ০ ১
নড়াইল ০ ০ ১

 

ভাঙ্গলো মিলনমেলা, দেখা হবে পরের বছরে– এই শ্লোগানে গতকাল চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে শেষ হয়েছে মুজিববর্ষ ৪৩ তম জাতীয় এথলেটিক্স প্রতিযোগিতা। শেষ দিকে এসে মাঠের বিশাল সাউন্ড বক্সে বাজছিলো চট্টগ্রামের হৃদয় ছোঁয়া চাঁটগাইয়া গান ‘মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা’। এতে একদিকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে বাদ্যে তালে তালে হাওয়ায় যেন ভেসে যেতে চাচ্ছিলো বাংলাদেশ নৌবাহিনী দল। অন্যদিকে বিভিন্ন জেলা শহর থেকে আসা সাবেক পুরুষ ও মহিলা এথলেটরাও নেচে গেয়ে উপভোগ করতে চেয়েছেন এবারের আসরের সমাপ্তিটাকে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা বিদায়ের কষ্টে নীল হয়ে উঠবেন। অন্যদিকে তখনো বাধভাঙ্গা আনন্দে ভাসতে থাকবে এবারের প্রতিযোগিতায় ৩৬টি ইভেন্টের মধ্যে ২১ টি স্বর্ণ, ১৮টি রৌপ্য এবং ৮টি ব্রোঞ্জ সহ মোট ৪৭টি পদক নিয়ে দলগতভাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এছাড়া ১০০ মিটার দৌড়ের দ্রুততম মানব এম ইসমাইল ও শিরিন আক্তার দু-জনেই নৌবাহিনীর প্রতিযোগী। শিরিন আক্তার ২শ মিটার দৌড়েও স্বর্ন জয় করেছেন। এছাড়া পুরুষদেও ২শ মিটার দৌড়ের স্বর্ন জয়ী সাইফুল ইসলাম খানও নৌবাহিনীর প্রতিযোগী। এতে ১৪ টি স্বর্ণ, ১৪ টি রৌপ্য এবং ১৪ টি ব্রোঞ্জ সহ মোট ৪২ টি পদক নিয়ে রানার্স আপ হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবিাহিনী। এছাড়া ১ টি স্বর্ণ ও ১ টি রৌপ্য মোট ২টি পদকে ৩য় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি। অন্যান্য দলের মধ্যে বাংলাদেশ জেল ২টি রৌপ্য ও ৪টি ব্রোঞ্জ পদকে ৪র্থ, বিজেএমসি ১টি রৌপ্য ও ৩টি ব্রোঞ্জ গদকে ৫ম, বাংলাদেশ বিমান ৫টি ৫টি ব্রোঞ্জ পদকে ৬ষ্ঠ, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা ১টি করে ব্রোঞ্জ পদক পেয়ে যৌথভাবে ৭ম হয়েছে।

এদিকে সিলেট ও নড়াইল জেলা দল ১টি করে ব্রোঞ্জ পদক পেলেও স্বাগতিক চট্টগ্রাম জেলা দল ছিল পদক শুণ্য। এ যেন নিজভুমে ঠিক পরবাসীর মতো। প্রায় ১০টি ইভেন্টে ১৪ (৭জন পুরুষ ও সমসংখ্যক মহিলা) জন এথলেট অংশগহণ করলেও ধারে কাছেও কেউ পৌঁছাতে পারেনি। সবাই হিটেই বাদ পড়ে যান। তবে ৪শ মিটার দৌড়ে ১৫/২০ জন প্রতিযোগীর সাথে ৮ জন পর্যন্ত বাছাইয়ে টিকে ছিলেন মিরসরাইয়ের ছেলে ইফতেকার হোসেন। কিন্তু চূড়ান্ত বাছাইয়ে (বেস্ট ৬) তিনি বাদ পড়ে যান। এছাড়া, বাকিদের পারফরমেন্স ছিল একেবারেই হতাশজনক। এদিকে যথাযথ অনুশীলন পেলে ইফতেকার হোসেন ভবিষ্যতে অনেকদুর এগুতে পারবেন বলে কর্মকর্তারা আশাবাদী। এদিকে গতকাল এ প্রতিযোগিতার শেষ দিনে ১৪টি ইভেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। এতে নৌবাহিনী এতে ৯ টি ও বাংলাদেশ সেনাবিাহিনী ৫টি স্বর্ণ আদায় করে নিয়েছে। আর কোন দল গতকাল স্বর্ণের মুখ দেখেননি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট