চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ঢাকা লিগই বদলে দিয়েছে মোসাদ্দেককে ?

স্পোর্টস ডেস্ক

১৯ মে, ২০১৯ | ১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

সৌম্য আগেও দল জিতিয়েছেন। পাকিস্তান আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি, বিগ ফিফটি আছে। বেশ কয়েকবার জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরষ্কার। কাজেই এই বাঁহাতি ওপেনারের সামর্থ্য প্রমাণিত। কিন্তু মোসাদ্দেক আগে কখনো দল জেতাননি। জেতানোর সম্ভাবনাও তৈরী করতে পারেননি। এমনকি আগের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডে বিপক্ষে পরশুর চেয়ে অনেক সুবিধাজনক ও মজবুত অবস্থানে থেকেও ম্যাচ শেষ করে বিজয়ীর বেশে সাজঘরে ফিরতে পারেননি। আইরিশ ফাস্ট বোলার মার্ক এডারের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মাত্র ১৪ রান করে। কিন্তু পরশু সেই মোসাদ্দেকের অন্যরুপ। একদম আস্থার প্রতিমূর্তি। যেন ‘ধনুক ভাঙ্গা পণ’ করে মাঠে নেমেছিলেন, যে করেই হোক দল জিতিয়েই মাঠ ছাড়বো আমি। তাই করেছেন। হঠাৎ মোসাদ্দেকের এই রূপবদল? এমন কি হলো যে প্রায় রাতারাতি নিজেকে পাল্টে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে ফিনিশারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন? এ কৌতূহলী প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। এমন নয়, হঠাৎ আলাদীনের আশ্চর্য্য জাদুর ‘চেরাগ’ পেয়ে নিজেকে বদলে ফেলা। কিংবা গত দুই তিন মাস ইংলিশ কাউন্টি, ভারতের আইপিএলের মত বড় আসরে অংশ নিয়ে অনেক আত্মবিশ্বাস ও আস্থা অর্জন। আমি পারবো, আমাকে পারতেই হবে- এমন দৃঢ় সংকল্প আর ইচ্ছে জাগলো কোত্থেকে? এখন চলছে তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা। অনেকেই মত দিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞ মতামত চলছে মোসাদ্দেককে নিয়ে। তবে যারা তাকে খুব কাছ থেকে দেখেন, তার খুব কাছের- তারা জানেন এ সাফল্যের রহস্য। আসলে এবারের প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর মত বড় দলের নেতৃত্ব দিতে গিয়েই নিজেকে বদলে ফেলেছেন মোসাদ্দেক।
অনেক তারার ভিড়েও আকাশী হলুদ শিবিরকে চ্যাম্পিয়ন করতে রেখেছেন কার্যকর অবদান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারটা ছোট্ট, খুব বেশী দিন না, এইতো সাকুল্যে আড়াই বছরের একটু বেশী (৩২ মাস)। ২০১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের সাথে অভিষেকে ১০০.০০ স্ট্রাইক রেটে ৪৫ রানের হার না মানা ইনিংস দিয়ে শুরু ওয়ানডে ক্যারিয়ার। তার ঠিক চার ম্যাচ পর ক্রাইস্টচার্চের অনভ্যস্ত ও প্রতিকুল কন্ডিশনে ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, লকি ফার্গুসন আর জেমস নিশামের সাজানো নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলিং তোপের বিপক্ষে আট নম্বরে নেমে তিন ছক্কা ও পাঁচ বাউন্ডারিতে হাফ সেঞ্চুরি (৫০*) করে দেখিয়েছিলেন আমি পারি। এবার ডাবলিনে যে দুই ইয়াং টাইগারের ব্যাট কথা বলেছে, সেই সৌম্য আর মোসাদ্দেক এবার প্রিমিয়ার লিগে ভাল খেলেছেন। তাদের ব্যাটে ছিল রানের ফলগুধারা। টাইগারদের সাফল্যর অন্যতম রূপকার সেই সৌম্য সরকার এবার লিগের শেষ দুটি শতরান (যার একটি আবার ডাবল সেঞ্চুরি) হাঁকিয়েই সাহস ফিরে পেয়েছেন। সামর্থ্যরে প্রতি আস্থাও এসেছে। জেনে বুঝে গেছেন, আমি তো আগেও পারতাম, এখন আবার পারি, পারবোও এবং পেরেছেন। একইভাবে মোসাদ্দেকেরও নিজের সামর্থ্যরে প্রতি আস্থা বেড়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট