চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ফিক্সিং টোপ এবারের বিপিএলেও ?

১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৩:০৬ পূর্বাহ্ণ

বিপিএলের সঙ্গে বিতর্ক না থাকলে বোধহয় জমে না। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দুটি দলের স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনৈতিক প্রস্তাব সন্দেহে রিপোর্ট হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) এন্টিকরাপশন ইউনিটের (এসিইউ) কাছে। আর রিপোর্ট করেছে বিদেশি ক্রিকেটার সরবরাহকারী পৃথক দুটি এজেন্ট। একটি দলের স্পন্সরদের পক্ষ থেকে সরাসরি শ্রীলংকান একজন ক্রিকেটারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। অন্য একটি স্পন্সরের পক্ষ থেকে এজেন্টকে বলা হয়েছিল খেলোয়াড়দের অনৈতিক কাজে রাজি করাতে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই ক্রিকেটারদের প্লেয়ার্স ড্রাফটের বাইরে থেকে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। পারিশ্রমিক নিয়ে কথাবার্তার একপর্যায়ে শ্রীলংকান ক্রিকেটারকে তৃতীয় পক্ষের নির্দেশ মেনে খেলার শর্ত জুড়ে দিলে এজেন্টের মাধ্যমে তিনি আইসিসিকে রিপোর্ট করেন। এ ঘটনা এসিইউ জানায় বিসিবি এন্টিকরাপশন ইউনিটের প্রধান কর্মকর্তা মেজর (অব.) আবু মোহাম্মদ হুমায়ুন মোর্শেদকে। এদিকে মাঠের খেলায় ক্যারিবীয় ক্রিকেটার ক্রিসমার স্যান্টোকিকে নিয়ে সন্দেহের ডালপালা ক্রমশ বাড়ছেই।
প্রথম ম্যাচে দৃষ্টিকটু ওয়াইড নো-বলের পর দ্বিতীয় ম্যাচে পরশু তিনি প্রশ্নজাগানীয় ভাবে রান-আউট হন। এ নিয়ে সন্দেহ খোদ দলের ভেতরেই। এই ঘটনায় বিসিবি কি করছে বা পরবর্তী পদক্ষেপ কি সেটা এই প্রতিবেদন তৈরির সময় পর্যন্ত জানা যায়নি।
স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব সন্দেহে তিনটি পৃথক রিপোর্টের ঘটনায় বিসিবিও সতর্ক হয়।

এ কারণে প্রতিটি দলের সঙ্গে একজন করে দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা যুক্ত করে বিসিবি। এর পরও আইসিসিতে রিপোর্ট হওয়া দুই স্পন্সরের ওপর থেকে সন্দেহ যায়নি। বরং টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে সিলেট থান্ডারের জ্যামাইকান পেসার ক্রিসমার স্যান্টোকির একটি বিশাল ওয়াইড এবং নো বল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আগেই বলা হয়েছে সন্দেহ পরশু তার রান-আউটের ধরণ নিয়েও। এ নিয়ে খোদ সিলেটের টিম ডিরেক্টর বিসিবি পরিচালক তানজিল চৌধুরী এই প্রশ্ন তুলেছেন।

বিসিবি সিইও এবং এসিইউ প্রধানকে তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। এই স্যান্টোকি প্লেয়ার ড্রাফটের বাইরের ক্রিকেটার।

সিলেটের স্পন্সর নিজেদের উদ্যোগে তাকে দলে ভিড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধু বিপিএল ২০১৯ প্লেয়ার্স ড্রাফটের টেবিলেই সিলেটের স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিসিবি পরিচালক তানজিল চৌধুরী ও কোচিং ডিরেক্টর সারওয়ার ইমরানের সঙ্গে খেলোয়াড় পছন্দ করা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয় বলে জানা গেছে। সিলেটের টিম ডিরেক্টর তানজিল পরে বিসিবি সভাপতি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল কর্মকর্তাদের ঘটনাটি লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন। বোর্ডের পক্ষ থেকে সিলেটের স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মৌখিকভাবে সতর্কও করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে তো অভিযোগ আসা বন্ধ হয়নি। বরং আইসিসি পর্যন্ত গড়িয়েছে ক্রিকেটারদের স্পট ফিক্সিং প্রস্তাব সন্দেহের অভিযোগ।-ইন্টারনেট

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট