দিন হিসেব করলে আজ থেকে আর মাত্র ৪২ দিন পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছাড়বে গ্রেট বৃটেন। বিশেষজ্ঞরা বৃটেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়াটিকে বলছেন ‘ব্রেক্সিট’। এই ইস্যুটি যেমন গ্রেট বৃটেনের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রভাব ফেলবে ঠিক সেভাবেই এই ইস্যুটি থেকে বাদ পড়বে না ইংল্যান্ডের ফুটবলও। আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে বলতে হবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এই ‘ব্রেক্সিট’র প্রভাব পড়বে বিস্তর ভাবেই। যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ধীরে ধীরে ইংলিশ ফুটবলারদের থেকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে বিদেশি ফুটবলারদের। অর্থাৎ এর ফলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ইংল্যান্ডের ফুটবলারদের আধিপত্য দিনকে দিন কমে আসছে। আর ইংলিশ ফুটবলাররা খেলার সময়ই অনেক কম পাচ্ছে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। ইংলিশ ফুটবল এসোসিয়েশন মনে করছে ‘ব্রেক্সিট’ ইংলিশ ফুটবলের জন্য সাপে বর হয়েই আসছে। ব্রেক্সিটের ফলে ইংল্যান্ডের বাইরের দেশ গুলোর ফুটবলারদের ইপিএলে খেলার সুযোগে আসবে বেশ কড়াকড়ি। আর এটাকে বেশ সাদরেই গ্রহণ করতে চলেছে ইংলিশ ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। এফএ বলছে, ‘ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন হলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দেশের ফুটবলারদের গুরুত্ব বাড়বে। এতে ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা ইংলিশ ক্লাবগুলোতে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে। আর শেষ পর্যন্ত এতে উপকৃত হবে ইংল্যান্ড জাতীয় দলই।‘ তবে ‘এফএ’র সঙ্গে একমত হতে পারছে না ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের আয়োজকরা। তারা বলছে, ‘ব্রেক্সিট হয়ে গেলে ইংল্যান্ডের ফুটবল যে উপকৃত হবে এমন কোনো প্রমাণ নেই। এতে প্রিমিয়ার লিগের ক্ষতি হবে বলেই মনে করেছেন তারা। আসন্ন শীতকালীন দলবদলের মৌসুমের দিকে বেশ ঠান্ডা মেজাজেই দেখছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো। যেখানে তারা নজর রাখছে ‘ব্রেক্সিট’ ইস্যুর দিকেও। বিদেশি ফুটবলার দলে ভেড়ানোর আগে ভাবতে হচ্ছে ইংলিশ ক্লাবগুলোকে।
আর এটি বাস্তবায়ন হলে অনেক ফুটবলারকেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে ক্লাবগুলো এবং নতুন খেলোয়াড়দের দলে ভেড়ানোর ক্ষেত্রে গুনতে হবে সাধারণের থেকে অনেক বেশি অর্থও। এ ব্যাপারে লিভারপুলের জার্মান কোচ ইয়্যুর্গেন ক্লপ বলছেন, ‘এটার কোনো অর্থই নেই।’ আবার অন্যদিকে মুদ্রার উল্টো দিকটার দেখাও মিলছে। কার্ডিফ সিটির কোচ নেইল ওয়ার্নক বলছেন, ‘আমি অপেক্ষা করতে পারছি না ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য।’ অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত ইংলিশ ফুটবলে ‘ব্রেক্সিট’ ইস্যুতে লাভের থেকে বরং ক্ষতিটাই বেশি হবে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।