চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

জীবনে আবেগের মূল্য নেই : তাসকিন

৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ১:৪০ পূর্বাহ্ণ

চোটের কারণে জাতীয় লিগে খেলা নিয়েই ছিল অনিশ্চয়তা। অথচ চোট কাটিয়ে ফিরে জাতীয় লিগে এবার নিজের ক্যারিয়ারের সেরা মৌসুম কাটালেন তাসকিন আহমেদ। এখন তার দৃষ্টি বিপিএলে। গত বিপিএলে ভালো করে জাতীয় দলে ফিরলেও চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন। চোট, ফর্ম ও নানা কারণ মিলিয়ে গত প্রায় ২১ মাসে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারেননি ম্যাচ। বিডিনিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তাসকিন জানালেন, এই দুঃসময় থেকে জীবন ও ক্রিকেট নিয়ে শিখেছেন অনেক। বদলে ফেলেছেন নিজেকে। শোনালেন, জাতীয় দলে ফিরে লম্বা সময় খেলার প্রত্যয়।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপে সুযোগ না পেয়ে তো একদম ভেঙে পড়েছিলেন!
তাসকিন: তখন আমার ক্রিকেট থেকে মন উঠে গিয়েছিল। কয়েক দিন কিছুই ভালো লাগেনি। তখন আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, আমার বাবা আমাকে বুঝিয়েছেন। বাবাই আমার সব। মা বুঝিয়েছেন। তার পর আবার ক্রিকেটের প্রতি টান ফিরে পেয়েছি।
প্রশ্ন: এই ঘটনা কি জীবনে একটা শিক্ষাও?
তাসকিন: শিক্ষা, এমন শিক্ষা আর দরকার নেই জীবনে। যে শিক্ষা আমাকে কাঁদিয়েছে, সেই শিক্ষা দরকার নেই। অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম। কারণ ফিট হতে তখন অনেক ট্রেনিং করেছিলাম, আশা ছিল। এখনও পর্যন্ত ক্রিকেট থেকে জীবনে সবচেয়ে বড় কষ্ট আমার সেটিই।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের ক্যাম্পে তো নতুন বোলিং কোচ চার্লস ল্যাঙ্গাভেল্টের সঙ্গে কিছুদিন কাজ করেছেন। তিনি কি বলেন?
তাসকিন: খুব বেশি কিছু যোগ করতে বলেননি। আমার সর্বোচ্চ গতিটা পেতে বলেছেন। যত জোরে সম্ভব বল করা ও আরও বেশি সিমে হিট করা, আমাকে বলেছেন এই দুটিই বেশি করতে। আরও শার্প হওয়ার জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রশ্ন: মানসিকভাবে কি আগের চেয়ে আরও শক্ত হতে পেরেছেন?
তাসকিন: তাই তো মনে হয়। শক্ত হচ্ছি। যত বয়স বাড়ছে, তত বুঝতে পারছি, ইমোশনের খাওয়া নেই। ব্যক্তিগত জীবন থেকেই শিখেছি। ক্রিকেটে বলেন, পরিবার বলেন, জীবনে বলেন, আমি বুঝে গেছি যে আবেগের খাওয়া নেই।
প্রশ্ন: একজন পেসারের তো অনেক শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন কাটাতে হয়। কতটা বদলেছেন আগের চেয়ে?
তাসকিন: অনেক বদল এসেছে জীবনে। আগের চেয়ে অনেক গোছালো আমি। অনেক ভেবে কাজ করি। কিছুটা রিজার্ভড, সিলেক্টিভ। যে কেউ ডাকলেই যাই না। অনেক কিছু চিনেছি, বুঝেছি।
প্রশ্ন: বিয়ে করা, বাবা হওয়ার প্রভাবও কি আছে এসবে?
তাসকিন: সত্যি বলতে, ততটা নয়। আমি এখনও ছোট, আমার বউও। ২৫ বছর বয়স আমার, বউয়ের ২৩। এর মধ্যে বাবুও হয়েছে। আমরা এখনও হয়তো অনেক কিছু বুঝি না।
প্রশ্ন: সামনের পথচলায় কিভাবে এগোতে চান?
তাসকিন: আরও ডিসিপ্লিনড হতে চাই। আরও ভালো বোলার, ভালো মানুষ হতে চাই। আরও অন্তত ১০ বছর জাতীয় দলে খেলতে চাই। সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করতে চাই। বাংলাদেশ দলে আরেকবার সুযোগ পেলে যেন বাইরে যেতে না হয়। সব ফরম্যাটে যেন নিয়মিত খেলতে পারি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট