চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মাত্র ১ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

নির্বাচন নিয়ে কাউন্সিলরদের উৎকণ্ঠা

নিজস্ব ক্রীড়া প্রতিবেদক

৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৩:২৯ পূর্বাহ্ণ

আসন্ন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস)-র নির্বাচন নিয়ে জল্পনা কল্পনার যেন শেষ নাই। কি হবে, কি হতে পারে, কি হতে যাচ্ছে- এ সব চিন্তায় কাউন্সিলরসহ যারা মনোনয়ন পত্র কিনেছেন তাদের চোখে মুখে যেন ঘুম নেই, উৎকণ্ঠায় পার হচ্ছে এক একটা দিন। সাধারনত কোন নির্বাচনে, বিশেষ করে ২টি হেভিওয়েট প্যানেল থাকে। কোথাও কোথাও এ সংখ্যা ৩-এ এসে দাড়ায়। কিন্তু এখানে অদ্ভুদভাবে অন্য একটি পক্ষ সিজেকেএস নির্বাচনে সমঝোতা করতে উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা চায় সমঝোতার মাধ্যমে গতবারের মতো এবারেও একটি কমিটি গঠন করা হোক। তারা চান, সব কাউন্সিলরা মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনকে ফরম জমা দিয়ে ফেলুক, উনিই সব ঠিক করবেন, যেমনটা করেছেন আগের বার। ধরেই নিলাম, মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এবারেও সেভাবে কমিটি গঠন করবেন। কিন্তু তিনি কিভাবে ৮৯ জনের মধ্যে ২৪ জনকে বিভিন্ন পদের জন্য বেঁছে নেবেন। বাকি ৬৫ জনের কি অবস্থা হবে। গেল বারতো এতো বেশি সংখ্যক কাউন্সিলর মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেননি। এবারেতো রেকর্ড সংখ্যক মনোনয়ন পত্র বিক্রি হয়েছে। কাজেই বিষয়টি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের জন্য অত্যন্ত জটিল ও কষ্টসাধ্য বলে অনেকেই মনে করছেন। বারবার বলা হয়েছে, আবারো বলা হচ্ছে, সাধারণ সম্পাদকের পদটি রেখে বাকিগুলোতে নির্বাচন দেয়া হোক। কাউন্সিলরা ভোটের মাধ্যমে জয় পেয়ে আসুক। এতে করে প্রমানিত হবে তাদের জনপ্রিয়তা ও নির্বাচনী কারিশমা। তেমনটা হলে, গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে এবং মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনও সকল বিতর্কের উর্দ্ধে অবস্থান করবেন। এদিকে গতকাল ছিল সিজেকেএস নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার প্রথম দিন। এতে একজন মাত্র কাউন্সিলর প্রবীণ কুমার ঘোষ মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। তবে, অনেকেই বলছেন, শেষ পর্যন্ত তিনি হয়তো সেটা প্রত্যাহার করে নেবেন। আজ মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন। দাখিলের সংখ্যা দেখেই আজই হয়তো, নির্বাচনের ব্যাপারে একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে। এদিকে একজনের নামে অন্যজন মনোনয়ন পত্র ক্রয় করা বিষয়ে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর গতকাল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ওনারা বলছেন, আমাদের নামে অন্যজন কেন ফরম কিনবেন। আমরাতো ওনাদের সে দায়িত্ব দেই নি। এছাড়া এবারে একাধিক কাউন্সিলর হাহাকারের মধ্যে থেকে নির্বাচন না হলে, সেটাকে দু:খজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাদের মতে, অনেক বছর পর নির্বাচনের একটা আমেজ ক্রীড়ামোদী মহলে সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কারো কারো অপতৎপরতায় সেটা বন্ধ হলে, বিষয়টি ক্রীড়াঙ্গনের জন্য সুখকর হবে না বলে, নাম প্রকাশে এক কাউন্সিলর মন্তব্য করেছেন। এদিকে নির্বাচন না হলে, কে কে বিভিন্ন পদে আসতে পারেন, এ নিয়ে জল্পনা কল্পনা কিন্তু চলছেই। সহ-সভাপতি পদে আলহাজ সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, মো. হাফিজুর রহমান, এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, সৈয়দ আবুল বশর ও আবুল হাশেমের নাম শোনা যাচ্ছে। গতবারের সহ সভাপতি আলহাজ শাহেদ আসগর এবারে মনোনয়ন পত্র কেনেননি। তাই ওনার নাম থাকার প্রশ্ন আসেই না। গেলবারের দুই সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক এবং এড. শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী ও নতুন হিসেবে আলহাজ দিদারুল আলম চৌধুরীকের রাখা হয়েছে এ তালিকায়। অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদকে আমিনুল ইসলামসহ এস এম শহীদুল ইসলাম ও তাহেরুল আলম স্বপন থাকতে পারেন। যুগ্ম সম্পাদকে অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, আ ন ম ওয়াহিদ দুলালসহ আরো কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। কোষাধ্যক্ষ পদে বেশ কয়েকজনের নাম শোনা গেলেও এককভাবেই এগিয়ে রয়েছেন শাহাবুদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর। নির্বাহী সদস্য পদে বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। তবে মহিলা কোটায় রিজিয়া বেগম ছবি ও রেখা আলমের নাম বেশি শোনা যাচ্ছে। তবে সমানতালে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তনিমা পারভীন। এদিকে গতকাল রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময়ে সিজেকেএস নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র ক্রয়কারীদের সাথে সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের সাথে জরুরী বৈঠক চলছিলো। এ সভায় বেশ কয়েকজন বক্তব্য রেখেছেন বলে, বিশ^স্থ সুত্রে জানা গেছে। তাদের বক্তব্য ছিল, সাধারণ সম্পাদক ছাড়া বাকি পদে নির্বাচন দেয়া হোক।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট