চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

‘আল আমিন আর মারজানকে দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছি’

একই গ্লাভসে দুই সোনা মিরাকল নাকি ভিন্ন কিছু ?

স্পোর্টস ডেস্ক

৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৩:২৮ পূর্বাহ্ণ

এসএ গেমসের দ্বিতীয় দিন কারাতেতে ৯টি পদক এসেছিল। তার মধ্যে ২টি ছিল রূপা আর ৭টি ছিল ব্রোঞ্জ। ব্যক্তিগত কুমিতে বেশ কাছে গিয়েও সোনা জিততে পারেনি বাংলাদেশের মোস্তফা কামাল ও মাউনজেরা বন্যা। তবে গতকাল সকালেই সোনা দিয়ে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। ছেলেদের ব্যক্তিগত কুমি অনূর্ধ্ব-৬০ কেজি ওজন শ্রেণিতে পাকিস্তানের জাফরকে ৭-৩ পয়েন্টে হারিয়ে কারাতেতে প্রথম সোনা জিতেন সেনাবাহিনীর মো. আল-আমিন। তার সেই গ্লাভস নিয়ে ম্যাটে হুমায়রা ফেরদৌস অন্তরা। তিনি স্বাগতিক নেপালের অনুগুরুংকে ৫-২ পয়েন্টের ব্যবধানে হারিয়ে সোনা জিতেন। এক জোড়া গ্লাভসে দুই সোনার পদক। মিরাকল নাকি ভিন্ন কিছু? নাকি শুধুই বিশ্বাস? উত্তর জানা নেই দুই বিজয়ীর কারোই! অন্তরা যখন সংবাদমাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশে ব্যস্ত তখন এই গ্লাভস হাতে নিয়ে দেখছিলেন ছেলেদের ব্যক্তিগত কাতায় পা পিছলে ব্রোঞ্জ জেতা হাসান খান। কী দেখছেন জানতে চাইলে হাসান বলেন, ‘এটা সেই গ্লাভস যেটা দিয়ে বাংলাদেশ কারাতেতে ২টি সোনা জিতলো। তাই গ্লাভসটি ভালোভাবে দেখছি। কারাতেতে সোনার দুয়ার খুলে দেওয়া গ্লাভস এটা। আসেন ছবি তুলি।’ এই গ্লাভস পড়ে সোনা জয়ের কথা স্বীকার করেছেন আল-আমিন ও অন্তরা।

এসএ গেমসের ক্যাম্পের জন্য এবার বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারেননি অন্তরা। তবে সোনা জিতে সব দুঃখ ভুলে যাচ্ছেন তিনি। ‘আমি যখন থেকে কারাতে শুরু করেছি, তখন থেকেই স্বপ্ন ছিল এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জয় করা। এটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমি এ খেলাটার জন্য অনেক সেক্রিফাইস করেছি। ভার্সিটির পরীক্ষা ছিল সেটা মিস করেছি, মেডিকেল পরীক্ষাও দিতে পারিনি। কারন ক্যাম্পে ছিলাম। হয়তো ভালো ভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারতাম। সেই স্বপ্নটা আমার এ বছর পূরণ হয়নি। তবে আগামিতে অবশ্যই চেষ্টা থাকবে। আল আমিন আর মারজানের স্বর্ণপদক দেখেই আমি অনুপ্রানিত হয়েছি। আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল যে আমিও পারব। এ জয়টা আমি দেশকে উৎসর্গ করলাম। যখন ম্যাটে উঠি, তখন আমার দেশের পতাকার কথা মনে হয়েছিল। জাতীয় সঙ্গীত বাজবে। আমি চেয়েছি দেশের পতাকা উপরে তুলতে। ২০১০ সালে বিপাশা আপুরা যখন পদক পায়, তখন থেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করি কারাতে শেখার।

আমার কাছে এ সাফল্যের কৃতিত্ব এককভাবে কারো কৃতিত্ব নয়, সবাই কষ্ট করেছে। বিশেষ করে আমার কোচরা, বাবা-মা, টিম অফিসিয়ালরা সবাইকে ধন্যবাদ। আমার চেয়ে বেশি স্বপ্ন তারা দেখেছে। তাই সবাই আমার প্রতি বিশ্বাস রেখেছিল, সেই বিশ্বাস আমি পূরণ করতে পেরেছি তাতেই আনন্দিত।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট