চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

আবু জায়েদের শামি শরণ

রাহীর স্বপ্নের উইকেট কোহলি

স্পোর্টস ডেস্ক

১৮ নভেম্বর, ২০১৯ | ১:৪০ পূর্বাহ্ণ

নাগপুরে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের শেষ বেলায় পেয়েছিলেন রোহিত শর্মার উইকেট। পরের দিন সকালে মিলে আরও বড় শিকার। বিরাট কোহলিকে ফেরান শূন্য রানে। আবু জায়েদ চৌধুরি জানালেন, ভারত অধিনায়কের উইকেটটি তার স্বপ্নের উইকেট। ইন্দোর টেস্টের দ্বিতীয় সকালে দারুণ এক ডেলিভারিতে কোহলিকে এলবিডব্লিউ করেন আবু জায়েদ। তীক্ষè বাঁক নিয়ে ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটে খেলতে পারেননি সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। বল পেছনের পায়ে লাগলে এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদন করে বাংলাদেশ। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেন মুমিনুল হক। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় বল লাগতো লেগ স্টাম্পে। পাল্টায় সিদ্ধান্ত। দুই বল খেলে শূন্য রানে ফিরে যান কোহলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেটাই বাংলাদেশের বিপক্ষে তার প্রথম শূন্য। ইনিংস ও ১৩০ রানে তিন দিনে প্রথম টেস্ট হেরে গেছে বাংলাদেশ। গতকাল রোববার হলকার স্টেডিয়ামে ছিল সফরকারীদের ঐচ্ছিক অনুশীলন। অনুশীলন শুরুর আগে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা আবু জায়েদ জানান, কোহলির উইকেট পাওয়ার পর সতীর্থরা অনেক উৎসাহ দিয়েছেন তাকে। ‘বিরাট কোহলি বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ে এক বা দুই নম্বরে আছেন। তার উইকেটটি আমার ড্রিম উইকেট। তাকে আউট করার পর সতীর্থরা অনেক প্রশংসা করেছেন।’ প্রথম টেস্টে ১০৮ রানে ৪ উইকেট নেন আবু জায়েদ।

জায়েদ মনে করেন, সতীর্থ বোলাররা যদি লাইন-লেংথ ঠিক রেখে বোলিং করতেন, ইন্দোর টেস্ট বাজেভাবে হারতে হতো না বাংলাদেশকে, ‘আমাদের লাইন এবং লেংথে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। টেস্টে বোলারদের লাইন-লেংথ ঠিক রাখাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। জায়গায় বোলিং করলে ব্যাটসম্যানরা ভুল করলে সুযোগ তৈরি হয়। এই টেস্টে অনেক বাউন্ডারি হয়েছে। এগুলো না হলে ভালো হতো।’ টেস্টে এটাই তার প্রথম চার উইকেট শিকার। এখানেই তৃপ্ত নন রাহি। শেখার জন্য প্রতিপক্ষের দুয়ারে যেতে আপত্তি নেই আবু জায়েদ চৌধুরির। নিজেকে আরও ধারাল করতে, বোলিংয়ে নতুন অস্ত্র যোগ করতে ভারতীয় পেসারদের সঙ্গে যত বেশি সম্ভব কথা বলছেন এই তরুণ। বোলিংয়ের ধরণ অনেকটা এক রকম বলে মোহাম্মদ শামির সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছেন বেশি। সিম পজিশন নিয়ে কথা বলছেন প্রচুর। ইন্দোর টেস্টে শামি, ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদব মিলে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। তাদের দারুণ লাইন, লেংথ, সুইং আর নিয়ন্ত্রণ মন কেড়েছে আবু জায়েদের। তরুণ এই পেসার জানান, ভারতীয় পেসারদের বোলিং থেকে শেখার চেষ্টা করছেন তারা। ‘তারা অনেক সিনিয়র বোলার, অনেকগুলো টেস্ট খেলেছেন। শামি ভাইয়ের সঙ্গেও কথা বলেছি আমরা। যেহেতু শামি ভাইয়ের সঙ্গে আমার সিম পজিশন কিছুটা মিলে। দুজনই সুইং বোলার। আমি শামি ভাইয়ের বল অনেক সময় ধরে দেখেছি। ম্যাচের মধ্যে যখন ছিলাম তখনও তার বল মনোযোগ দিয়ে দেখেছি।’

ইন্দোর টেস্টে ৭ উইকেট নিয়ে বোলারদের মধ্যে সফলতম ছিলেন শামি। গড় গতির দিক থেকে পাঁচ পেসারের মধ্যে সবচেয়ে মন্থর ছিলেন আবু জায়েদ।

তবুও ছিলেন বেশ কার্যকর। ১০৮ রান দিয়ে পান ৪ উইকেট। তরুণ এই পেসার জানান, বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট গতি নিয়ে না ভেবে সঠিক লাইন-লেংথের দিকে মনোযোগ দিতে বলেছেন। ‘ল্যাঙ্গাভেল্ট পেস নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত না।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট