চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ব্যর্থতা পিছুই ছাড়ছে না ইমরুলের

টেস্ট মেজাজটাই জন্মাল না বাংলাদেশের!

স্পোর্টস ডেস্ক

১৫ নভেম্বর, ২০১৯ | ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ

বয়স ঊনিশ পেরিয়ে বিশে পা দিয়েছে। কিন্তু আজও টেস্ট মেজাজটাই যেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সত্বায় জন্ম নেয় নি! ১৯ বছরের সুদীর্ঘ্য পথ চলায় তারা যেন টেস্ট ক্রিকেটের গ্রামারটাই রপ্ত করতে পারেননি! টেস্ট ক্রিকেট মানেই ধৈর্য্যরে খেলা, সেশনের পর সেশন এখানে সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে হয়-এই মন্ত্রটাই যেন আজও শেখা হয়ে ওঠেনি লাল সবুজের যোদ্ধাদের! কেমন নবিশ নবিশ একটি ভাব! ঠিক যেন ১৫ বছর আগের সেই দলটি। মজার ব্যাপার হল, সাদা পোষাকে যে কোন সিরিজের আগে ঠিক এই মন্ত্রটিই এদেশের প্রতিটি ক্রিকেটার তোতা পাখির মত বলে যান! কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, তারা কেউ বিশ্বাস করেন না! যদি করতেন তাহলে তার প্রমান মাঠে ঠিকই দিতেন। এভাবে প্রথম দিনের মাত্র দুটি সেশনেই গুটিয়ে যেতেন না। ৫৮.৩ ওভারে ১৫০ রানে ইনিংসের সলিল সমাধি না গড়ে যদি উইকেট আঁকড়ে সারা দিনেও এই সংগ্রহ গড়তেন বোধ করি কেউ তাদের দিকে আঙুল তুলতেন না। বয়সে এত পরিণত কিন্তু কাজে তার ছিটে ফোঁটাও নেই। হোক না ভারতের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ঝড়ানো বোলিং তাই বলে একজন ব্যাটসম্যান ৫০ রানও করতে পারবেন না! কী দৃষ্টিকটু পারফরম্যান্স! ৫ দিনের ম্যাচের প্রথম দিনেই এতটা বেহাল দশা! অন্যদের মতো ব্যর্থ হন লম্বা সময় পর লাল বলে ফেরা ওপেনার ইমরুল কায়েসও। অনেকে বলে থাকেন বাংলাদেশ দলের বিপদের বন্ধু ইমরুল কায়েস। যে ক্রিকেটারই ইনজুরিতে পড়ে তার বিকল্প হিসেবে দলে ডাক পান ইমরুল। জাতীয় লিগের চলতি মৌসুমেও একটি জোড়া শতক আছে নামের পাশে। আর তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে তাই অভিজ্ঞ ইমুরুলের কাঁধেই এসেছে ভারত টেস্টের ওপেনিংয়ের দায় দায়িত্ব। কিন্তু তামিমের বদলে জায়গা করে নেওয়া ইমরুল ইন্দোরে সাদা জার্সিতে আবারও ব্যর্থ হয়েই ফিরছেন। টেস্টের রাজকীয় জার্সিতে শেষবার তার ব্যাট হেসেছিল বছর তিনেক আগে। ২০১৬ সালে অক্টোবরে মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংস করেছিলেন ৭৮ রান। এরপর পেরিয়ে গেছে তিনটি বছর, খেলেছেন আরও ১১ টি টেস্ট। আর এই ১১ টেস্টের ২২ ইনিংসের মধ্যে একটিতেও অর্ধশতকের দেখা পাননি এই ৩২ বছর বয়সী ওপেনার।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট