চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন সৌরভ গাঙ্গুলী

অনলাইন ডেস্ক

১৪ অক্টোবর, ২০১৯ | ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ

আবার ভারতীয় ক্রিকেটের মসনদে বসলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। সর্বসম্মতিক্রমে বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে সৌরভ গাঙ্গুলীর নাম বিবেচিত হলেও প্রথমে মনে করা হয়েছিল ওই পদে বসতে চলেছেন ব্রিজেশ প্যাটেল।

একেই বলে শেষ ওভারে বাঁহাতির দুরন্ত ছক্কা। এক নাটকীয় মোড়ে বিসিসিআইয়ের নয়া সভাপতি হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে সৌরভের ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে বসার সম্ভাবনা থাকলেও হঠাৎ-ই আলোচনায় চলে আসে ব্রিজেশ প্যাটেলের নাম। শোনা যায় তিনিই হতে চলেছেন বোর্ডের নয়া সভাপতি। কিন্তু শেষপর্যন্ত শেষ বাজি জিতেন সৌরভই । পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ হলেন নতুন সচিব এবং অরুণ ধূমাল বোর্ডের নতুন কোষাধ্যক্ষ।  সোমবার মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন হলেও জানা গেছে বোর্ড সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না যেহেতু সর্বসম্মতিক্রমেই সৌরভ গাঙ্গুলীর নাম  বিবেচিত হয়েছে। এর ফলে ৪৭ বছরের সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে, তাঁর বর্তমান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি) -এর সভাপতি পদ ছাড়তে হবে।

শোনা যাচ্ছে, তামিলনাড়ুর এন শ্রীনিবাসনের সমর্থিত ছিলেন ব্রিজেশ প্যাটেল। এদিকে ২০২১-এর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রচারে কোনও সম্মতি না দেওয়াতেই সৌরভ বিসিসিসিআই সভাপতি হতে পারছেন না, এমন জল্পনাও ছড়ায়।

আর তারপরেই আসে নাটকীয় মোড়। বোর্ড সদস্যদের মধ্যে থেকে আপত্তি ওঠে যে, ব্রিজেশের চেয়ে সৌরভ অনেক যোগ্য প্রার্থী। একে তো অনেক বেশি ক্রিকেট খেলেছেন, সে বিষয়ে কোনও তুলনাই চলে না। তার উপরে প্রশাসক হিসেবে ব্রিজেশের অভিজ্ঞতা বেশি হলেও সৌরভও পাঁচ বছর ধরে সিএবি-র দায়িত্ব সামলেছেন। তাই তিনিই যোগ্য প্রার্থী। “হ্যাঁ, ব্রিজেশ প্রথমে বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে এগিয়ে ছিলেন, কেননা এন শ্রীনিবাসনের শিবির ব্রিজেশের হয়ে খুবই সক্রিয়ভাবে তদবির চালাচ্ছিল। তবে, এই বিরুদ্ধে অনেকেই আপত্তি তোলেন। আমরা খুশি যে সৌরভই নতুন সভাপতি হচ্ছেন”, সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান উত্তর পূর্বের সহযোগী ইউনিটের এক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

ব্রিজেশ প্যাটেলের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হলেও শেষপর্যন্ত সর্বসম্মতিক্রমেই বিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতি হিসাবে বিবেচিত হয় প্রাক্তন ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলীর নামই।

তবে লোধা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, দশ মাসের জন্য যে তিনি বোর্ড সভাপতি হবেন এবং তার পরে তিন বছরের বাধ্যতামূলক ‘কুলিং অফে’ চলে যেতে হবে তাঁকে, যদিও তা মেনে নিতেও কারোও আপত্তি নেই। সূত্র: এনডিটিভি

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট