২০১৪ আইএফএ শিল্ডে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) আমন্ত্রণ পায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

কলকাতার দুই জায়ান্ট মোহনবাগান ও ইস্ট বেঙ্গলকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় ঢাকার দলটি। যদিও শেষ পর্যন্ত থামতে হয়েছিল ফাইনালে এসে। ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হারতে হয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে।

দলের নেতৃত্বে ছিলেন মামুনুল ইসলাম মামুন। টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের মন জয় করেছিলেন। এই কারণে ওই বছরই ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (আইএসএল) এথলেটিকো ডি কলকাতায় সুযোগ পেয়ে যান চট্টগ্রামের ছেলে মামুনুল। ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে আগামী ১৫ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রের মাঠের লড়াই বসবে কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যা সল্টলেক স্টেডিয়াম হিসেবেও বেশ পরিচিত। এরই মধ্যে কলকাতায় অবস্থান করছে লাল-সুবজরা। দলের সঙ্গে রয়েছেন মামুনুলও।

গতকাল সকালে দলের সঙ্গে অনুশীলনে অংশ নিয়েছেন অভিজ্ঞ মামুনুল। অনুশীলন শেষে তিনি বলেন, ‘লক্ষ্য আমাদের একটাই। ভারতের বিপক্ষে জয় ছাড়া আপাতত কিছুই ভাবছি না। যদি সুযোগ পাই দলের সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে যতটুকু সামর্থ্য করার চেষ্টা করব।’ ২০০৭ সালে অভিষেকের পর আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে ৭৫ ম্যাচে অংশ নিয়েছেন ৩০ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এই ম্যাচে কলকাতায় খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারবেন মামুনুল। ভারতীয়দের বিপক্ষে ২৩ সদস্যের দলে সবচেয়ে সিনিয়র সদস্যও তিনি। ‘প্রায় পাঁচ বছর পর কলকাতায় এসেছি খেলতে। অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে। কলকাতার ফুটবল সমর্থকরা আমাকে স্বাগত জানিয়েছে। এখনও জাতীয় দলের হয়ে খেলছি তা দেখে অনেকেই বাহবা দিয়েছে।’ যোগ করেন মামুনুল। যদিও কাতার বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের গেল দুই ম্যাচে মাঠে নামেননি সাবেক অধিনায়ক। তবে ভারতের বিপক্ষে ঢাকা আবাহনীর তারকার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতেই পারেন দলের প্রধান কোচ জেমি ডে।

কলকাতার স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে মামুনুল বলেন, ‘এই শহরে আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে। এটা আমার দ্বিতীয় বাড়ি বলতে পারেন। এখানে আসতে পেরে অনেক উচ্ছসিত। এরই মধ্যে সাংবাদিক বন্ধুদের সঙ্গেও দেখা হয়েছে। আশা করি মঙ্গলবার ভালো একটা ফল পাবো।’