চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

কলকাতার গ্যালারিতে নার্ভাস হওয়ার কিছু নেই : জেমি ডে

স্পোর্টস ডেস্ক

১২ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:১৭ পূর্বাহ্ণ

আগামী ১৫ অক্টোবর কলকাতার সল্টলেকের যুব ভারতী বিবেকানন্দ ক্রীড়াঙ্গনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি নিয়ে উত্তেজনায় টগবগ করছে দুই দেশের দর্শকরা। বিশেষ করে ঘরের মাঠের ম্যাচটি নিয়ে কলকাতার ফুটবলামোদীরা গুনছে অপেক্ষার প্রহর। বাংলাদেশ থেকেও অনেক দর্শক জামাল ভুঁইয়াদের সমর্থন দিতে কলকাতা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ধরেই নেয়া যায়- ১৫ অক্টোবর যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে থাকবে উপচে পড়া দর্শক। গ্যালারি ভরাও, বাংলাদেশকে চাপে রাখো-ভারতের অধিনায়ক সুনিল ছেত্রি অনেক আগেই তাদের দর্শকদের এ আহবান রেখেছেন। ভারতের কৌশলই হবে সমর্থক দিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলারদের নার্ভাস করে রাখার। তবে বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে বলেন-নার্ভাস হওয়ার কিছু নেই। আমি নার্ভাস নই। কাতার ম্যাচের পর ভারত ম্যাচকে সামনে রেখে অনেক কথাই বলেন বাংলাদেশ কোচ, তার চুম্বক অংশ..
প্রশ্ন: ভারত দুই ম্যাচের একটি হেরেছে, আরেকটি ড্র করেছে। আপনার শুরুটা ভালো হয়নি। শক্তির দিক থেকে প্রায় সমান ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচটি নিয়ে আপনি কী ভাবছেন?

জেমি ডে: কাতারের বিরুদ্ধে ভারত খেললেও তার আগে তারা কিন্তু মানের কাছে হেরেছে। আফগানিস্তান, কাতারের কাছে আমরা হারলেও আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। পয়েন্টের দিক থেকে বিচার করলে আমরা ভারতের থেকে মাত্র এক পয়েন্টে পিছিয়ে। ১৫ তারিখ আমার ছেলেরা কিন্তু ভারতকে সহজে ছেড়ে দেবে না। তবে এটা ঠিক, ম্যাচে ফেভারিট হিসেবেই নামছে ভারত।
প্রশ্ন : আপনার দলের ক্যাপ্টেন জামাল ভুঁইয়ার ফুটবল হাতেখড়ি ডেনমার্কে। সেখানকার ক্লাব ফুটবলেও খেলেছেন। ইউরোপে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে জামালের। এশিয়ার কঠিন কোনও লিগে যদি আপনার ছেলেরা খেলেন, তা হলে তো সার্বিক ভাবে দলটাও শক্তিশালী হয়।

জেমি ডে: আমার দলের সব ফুটবলারই বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্লাবে খেলে। তবে আমি বিশ্বাস করি, ইউরোপ বা এশিয়ার বড় বড় লিগে খেললে, কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলে, ফুটবলাররা সব দিক থেকেই লাভবান হয়। ওদের খেলাতেও উন্নতি ঘটে। বিদেশের লিগে খেলার অভিজ্ঞতা অবশ্য রয়েছে জামালের। প্রশ্ন: বাংলাদেশের ফুটবল মৌসুম শেষ। ভারতের ফুটবল মৌসুম সবে শুরু হয়েছে। এটা কি কোনও ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে এ ম্যাচে?

জেমি ডে: আমার মনে হয় না। সুনীলরা কিন্তু এখনও একটাও লিগের ম্যাচ খেলেনি। অন্য দিকে বাংলাদেশে ফুটবল মৌসুম মাত্র কয়েক দিন আগে শেষ হয়েছে। লিগ শেষের পর থেকেই আমরা বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের কোনও সমস্যা হবে না। কাতারের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলে ওঠার পরই ভারতের বিরুদ্ধে আমরা নামছি। আমার ছেলেরা খেলার মধ্যেই রয়েছে।

প্রশ্ন: যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বাঙালি দর্শকদের সামনে খেলতে হবে আপনাদের। কিন্তু, সে দিন কেউ আপনাদের সমর্থন করবেন না। সুনীলদের জন্য সবাই সে দিন গলা ফাটাবেন। কলকাতার দর্শকদের সামনে খেলতে নামার আগে কি নার্ভাস লাগছে?
জেমি ডে: কলকাতায় দারুণ একটা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে চলেছি আমরা। এ রকম একটা ম্যাচের দিকেই তো তাকিয়ে থাকে ফুটবলাররা। আমার দলের বেশিরভাগ ফুটবলারই ইয়াং। এই ধরনের ম্যাচ ওদের উন্নতিতে সাহায্য করবে বলেই আমার ধারণা। আমি মোটেও নার্ভাস নই।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট