চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ঘন ঘন পরিবর্তনের ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক

বিকল্প ক্রিকেটার খোঁজার প্রচেষ্টা বিসিবির

স্পোর্টস ডেস্ক

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:৩৪ পূর্বাহ্ণ

শুরুর ধাক্কা, অস্থিরতা, স্থবিরতা, আড়ষ্টতা আর অনুজ্জ্বলতা কাটিয়ে সাকিবের দল ধীরে ধীরে উন্নতি ঘটিয়েই তিন জাতি টি-টোয়েন্টি আসরের ফাইনালে। আর কাঙ্খিত ফাইনালের পথে শনিবার আফগানিস্তানকেও প্রায় সহজে হারিয়েছে টাইগারররা।

আগামীকাল শেরে বাংলায় ফাইনালে রশিদ খানের আফগান বাহিনীর মুখোমুখি হবেন সাকিব, মুশফিক, রিয়াদরা। কিন্তু তারপরও কিছু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অনেকের মুখেই ঘুরেফিরে প্রশ্ন, ‘আচ্ছা নির্বাচকরা এত অস্থির কেন? কেউ একটু খারাপ খেললেই ব্যস, তাকে বাদ দিয়ে আরেকজনকে নিয়ে নিচ্ছেন? একটুও তর সইছে না তাদের। কাউকে এক টানা দু-তিনটি সিরিজে অন্তত ৫-৭ টি ম্যাচ খেলানো যায় না? তাহলেই তো বোঝা যাবে, তার মান, মেধা আর শক্তি-সামর্থ্য কী? এত রদবদল হলে কি চলে? তাহলে যে দলের ভারসাম্য ও স্থিতি নষ্ট হয়। সংশ্লিষ্টরা কি তা মাথায় আনছেন না?’

নির্বাচকরা কেন এমন করছেন? তবে কি তারা চান না দলে স্থিতি আসুক ক্রিকেটাররা একটু বেশি সময় জাতীয় দলে থাকুক এবং খেলে ধাতস্থ হোক? এভাবে ঘন ঘন ক্রিকেটার রদবদলে দলের উন্নতি না অবনতি কোনটা হচ্ছে? জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু কিছুতেই ঐ অভিযোগ মানতে রাজি নন। নান্নু উল্টো প্রশ্ন করেন, ‘সবার আগে দেখতে হবে আমরা কাকে কখন কিভাবে বাদ দিচ্ছি? প্রথম কথা হলো আমরা কোন প্রতিষ্ঠিত পারফরমারকে বাদ দেইনি, দেই না, দিচ্ছিও না। দলে যাদের অবস্থান এখনও নিশ্চিত নয়, যারা পারফরম করে নিজেদের অপরিহার্যতার প্রমাণ রাখতে পারেনি, তাদেরই কেবল বাদ দেয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে আমরা তাদের বিকল্প পারফরমার খুঁজে ফিরছি। তাদের বদলে এইচপি থেকে কিছু তরুণদের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। সেটাই তো স্বাভাবিক। আমাদের কাজই হলো ১১ পজিসনে সম্ভাব্য সেরা ও ইনফর্ম ক্রিকেটার খুঁজে বের করে দলে রাখা। এখন কোনো পজিসনে যদি কেউ নিজের অবস্থান পাকা করতে না পারে, কারো পারফরমেন্স যদি আপটু দ্যা মার্ক না হয়, তখন নতুন বিকল্পের সন্ধানে অন্য কাউকে সুযোগ দিতেই হচ্ছে। আমি ভেবে পাই না এর মধ্যে দোষের কী আছে?’ প্রধান নির্বাচকের প্রশ্ন, ‘আচ্ছা, দেখেন তো আমরা কি মুশফিকুর রহিমের মত প্রতিষ্ঠিত পারফরমারকে বাদ বা বিশ্রাম দিয়েছি? একটু ভাল মত করে লক্ষ্য করুন, তামিম নেই আমরা লিটন দাস, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক, সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজসহ বেশ ক’জনকে নিয়মিতই খেলাচ্ছি। তাদের বাদ দেয়ার প্রশ্নই আসে না।

আমরা তাদের বাইরে নিয়ে কোন নতুন বিকল্পও খুঁজছি না। আমরা তাকেই বাদ দিচ্ছি, যার দলে অবস্থান নিশ্চিত নয়। যে বা যারা এখনও ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলে জায়গা পাকাপোক্ত করতে পারেনি। নান্নুর শেষ কথা, ‘যাদের অবস্থান পাকা ও মজবুত- এমন কাউকে আমরা বাদ দেইনি। দেয়ার প্রশ্নই আসে না। আমরা সেই সব হাতে গোনা কয়েকটি পজিসনে কিছু ক্রিকেটারের বিকল্প খুঁজে বেড়াচ্ছি, যাদের পারফরমেন্সে ধারাবাহিকতা কম। কাজেই ঘন ঘন রদবদলে ধোয়া তোলার অভিযোগটা আমার মনে হয় ভিত্তিহীন।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট