চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ব্যাপারটি অত্যন্ত দুঃখজনক : শায়েস্তা খান

পাইওনিয়র ফুটবলে ওয়াকওভার চলছেই জয় পেয়েছে আবর্তন গোষ্ঠী

দেবাশীষ বড়–য়া দেবু

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:৪১ পূর্বাহ্ণ

ইস্পাহানি গ্রুপ অব কোম্পানিজের পৃষ্টপোষকতায় এবং চট্টগ্রাম মহানগরী ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় ইস্পাহানি মহানগরী পাইওনিয়র ফুটবল লিগে আরো একটি ওয়াকওভার হয়েছে। ওয়াকওভারের ধারাবাহিকতায় গতকাল ইডেন স্টার ক্লাবের বিরুদ্ধে মাঠে আসেনি এফ এম ক্রীড়া একাডেমি। এতে নিয়মানুসারে ইডেন স্টার ক্লাবকে ২-০ গোলে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়েছে। একই মাঠে অনুষ্ঠিত একই লিগের অপর এক খেলায় আবর্তন গোষ্ঠী ২-০ গোলে আব্দুস সোবহান ফুটবল দলকে হারিয়েছে। খেলার ৫৩ মিনিটে রিফাত এবং ৫৬ মিনিটে ইকবাল একটি করে গোল করেন। এদিকে গতকালের ২টি খেলায় ওয়াকওভার পাওয়া ইডেন স্টার ও আবর্তন গোষ্ঠী, দু-দলই কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার পথ সুগম করেছে।
এদিকে গতকালসহ এ পর্যন্ত ৩টি দল এ লিগে ওয়াকওভার দিয়েছে। কোন লিগ থেকে ১৮ টি দলের মধ্যে ৩টি দলের ওয়াকওভার দেয়ার মতো ঘটনা এটাই মনে হয় প্রথম। গতকাল এফ এম ক্রীড়া একাডেমি’র আগে আর জি ফুটবল একাডেমি ও হাটহাজারি স্পোর্টস ক্লাব ওয়াকওভার দিয়েছিলো। এই ৩টি দলের মধ্যে আ জি একাডেমি প্রথম ম্যাচ থেকেই অনুপস্থিত। অন্যদিকে বাকি ২টি দল ২টি করে ম্যাচে অংশ নেয়ার পর ৩য় খেলায় মাঠে আসেনি। যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রামের ফুটবলার তৈরির কারখানা হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত চট্টগ্রাম মহানগরী ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এবং একজন সফল ক্রীড়া সংগঠক প্রফেসর শায়েস্তা খান বলেন, ব্যাপারটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এতে আমরা অসমান্বিত বোধ করছি। সারা দেশে পিছিয়ে পড়া ফুটবলকে যখন টেনে তোলার একটা প্রচেস্টা চলছে, সেখানে এ ধরণের ওয়াকওভারের ঘটনাটি ফুটবলকে আরো বিধ্বস্থ করে তুলবে। তিনি বলেন, লিগ শুরুর আগে দলগুলোকে অন্তভুক্ত করার জন্য দেন দরবার করে। এরপর কয়েকটি ম্যাচে অংশও নেয়, কিন্তু যখন দেখে পরবর্তী পর্বে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। তখন তারা দলকে গুটিয়ে নেয় এবং বলে, সুযোগ যখন নাই, তখন পয়সা খরচ করে আর কি লাভ। তিনি এটাকে লেক অফ স্পোর্টসম্যান স্পিরিড’র সাথে তুলনা করে আরো বলেন, সভা ডেকে ওয়াকওভার দেয়া দলগুলোর বিরুদ্ধে আমরা অ্যকশনে যাবো। এতে দলগুলোকে চট্টগ্রাম মহানগরী ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত কোন প্রতিযোগিতায় হয়তো অংশ নিতে দেয়া হবে না। তবে, গতবার ওয়াকওভার দেয়ার পরও আর জি একাডেমিকে এবারেও নেয়া হওয়া প্রসঙ্গে শায়েস্তা খান বলেন, সেটা হয়েছে অসাধানতা বশত:। এদিকে চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলার মধ্যে অন্যতম সেরা হিসেবে নিজেদের ইতিমধ্যে নিজেদের প্রমাণ করলেও অনেকে মনে করছেন চলতি ইস্পাহানি মহানগরী পাইওনিয়র ফুটবল লিগে অত্র উপজেলার অন্তর্গত ২টি দলের ওয়াকওভার দেয়ার ব্যাপারটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এর মধ্যে হাটহাজারি স্পোর্টস ক্লাবটি একেবারে শহরের প্রাণকেন্দ্রে এবং কিছুটা দুরে আর জি ফুটবল একাডেমি। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে হাটহাজারি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর বলেন, যেভাবেই হোক, কোন আসরে ওযাকওভার দেয়াটা কোনভাবে মেনে নেয়ার মতো নয়। ব্যাপারটি সত্যিই বেদনাদায়ক। তবে, সারাদেশে চলমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে অংশ নেয়ার কারণেই হাটহাজারি স্পোর্টস ক্লাবকে ওয়াকওভার দিতে বাধ্য হয়েছে। এ আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়া হাটহাজারি পৌরসভা দলটি হাটহাজারি স্পোর্টস ক্লাবের খেলোয়াড় দিয়েই গড়া। তবে দলটি দু-দিকেই তারা খেলার তারিখ পরিবর্তন করার চেষ্টা করেও সফল হয়নি। তবে, তিনি বলেন, যেভাবেই হোক এই ওয়াকওভারে হাটহাজারী ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট