চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ৬:০৭ অপরাহ্ণ

ত্রিদেশীয় সিরিজে দুই ম্যাচের একটি হেরে বাংলাদেশ দল কিছুটা কোণঠাসা। এর মধ্যেই টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে জিম্বাবুয়ে। তাই সাকিবরা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নতুনভাবে শুরু করতে মরিয়া। আর কিছুক্ষণ পরেই চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাচ্ছে ফাইনাল নিশ্চিত করার এই ম্যাচটি। আর এ ম্যাচের মাধ্যমে অভিষেক হতে যাচ্ছে আমিনুল ও শান্তর।

অবশ্য এই ম্যাচটির আগে চলছে চট্টগ্রামের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে বাংলাদেশের একাদশ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ। আগের দুই ম্যাচের একাদশ থেকে যে পরিবর্তন আসছে, এটা বোঝা যাচ্ছে নতুন সুযোগ পাওয়া ৫ ক্রিকেটারের অন্তর্ভুক্তিতেই। বিশেষ করে ওপেনিংয়ে পরিবর্তন আসছে এটা পুরোপুরি নিশ্চিত। মুশফিকুর রহিমকে ওপেনিংয়ে নামানোর সিদ্ধান্ত কাজে আসেনি আগের ম্যাচে। ফলে এই পজিশন নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট আরও একবার চাইবে না বাজি ধরার ঝুঁকি নিতে। তাইতো ওপেনিংয়ে দেখা যাবে নাজমুল হোসেন শান্ত কিংবা নাঈম শেখের মধ্যে থেকে যেকোনো একজনকে।

এদিকে মোসাদ্দেক হোসেন মঙ্গলবার অনুশীলনের সময় পায়ের পেশিতে চোট পেয়েছেন। তাকে নিয়ে সংশয় থাকা সত্ত্বেও টিম ম্যানেজমেন্ট শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। তার চোট গুরুতর কিছু নয় বলে টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে। সবমিলিয়ে তাই টিম ম্যানেজমেন্ট মোসাদ্দেককে খেলানোর ব্যাপারে আশাবাদী।

শিশির নিয়ে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা। আগের দিন রাতে জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে আটটা বাজতেই কুয়াশা পড়তে দেখা গেছে। তাই পরে বোলিং করা দলটিকে পড়তে হবে সংগ্রামের মুখে। শিশিরে বল ভিজে গেলে স্পিনারদের জন্য বল গ্রিপ করা কঠিন। বিষয়টি মাথায় রেখেই করতে হবে একাদশ গঠন। এ কারণে বাংলাদেশ বেরিয়ে আসতে পারে আগের দুই ম্যাচে স্পিন নির্ভর একাদশ থেকে। তাইজুল ইসলামকে বসিয়ে তাই সুযোগ দেয়া হতে পারে লেগ স্পিনার হিসেবে সুযোগ পাওয়া আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে। তবে পরিস্থিতির ওপর সবকিছু নির্ভর করছে।

আবার উইকেটে খানিকটা সুবিধা থাকলেই  জ্বলে উঠতে পারেন মোস্তাফিজ। তার ভয়ঙ্কর কাটারে তখন কোণঠাসা হয়ে পড়েন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু চট্টগ্রামের উইকেটে  ওই সুবিধা পাবেন না মোস্তাফিজ! যে কারণে মোস্তাফিজের বদলে পেসার রুবেল হোসেনকে দেখা যেতে পারে।

পুরনো পরিসংখ্যান অনুযায়ী চট্টগ্রামের উইকেট সব সময়েই  কথা বলে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে। বেশ কিছু ম্যাচে একশোর নিচে কয়েকটি দল আউট হলেও এখানে বেশিরভাগ ম্যাচেই রান উঠেছে দেড়শোর বেশি। এমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের বহু রেকর্ড আছে জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে। পুরনো পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যাচ্ছে আসলে কেমন হবে জহুর আহমেদের উইকেটটি।

সাগরিকার ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে খেলতে হবে ব্যাটসম্যানদের বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া লিটন-সাকিব-মুশফিক-সাব্বিররা ভালো করতে না পারলেও কঠিন হবে চট্টগ্রামে সাফল্য পাওয়া। এখন অপেক্ষা কতটা গর্জে উঠে বাংলাদেশ চট্টগ্রামের মাটিতে।

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট