চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ফিফায় নিজের গোল দেখে রোমাঞ্চিত মনিকা

স্পোর্টস ডেস্ক

৫ মে, ২০১৯ | ৯:৩৯ অপরাহ্ণ

বাঁ পায়ের ভলিতে দুর্দান্ত এক গোলে বাংলাদেশি ভক্তদের নজর কেড়েছেন মনিকা চাকমা। বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ সেমিফাইনালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে করা ওই গোলটি ফিফার সৌজন্যে এখন বিশ্বের কোটি কোটি ভক্তদের নজরে। এই সপ্তাহের ‘ফ্যানস ফেভারিট’-এর তালিকায় নিজের গোল ঠাঁই পাওয়ায় রোমাঞ্চিত এই ফুটবলার।
এই সপ্তাহে ফিফার ‘ফ্যানস ফেভারিট’ ক্যাটাগরিতে প্রকাশ পাওয়া পাঁচটি সেরা ঘটনার একটি মনিকার বিস্ময়কর গোলটি। ডান প্রান্তে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে হেড করে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের মাথার উপর দিয়ে বল সামনে ফেলেন তিনি। তারপর বল মাটিতে লাফিয়ে উপরে উঠতেই ডিবক্স থেকে বাঁ পায়ের দারুণ ভলিতে চোখ ধাঁধানো গোল করেন মনিকা। নিজের এই গোলটি হয়তো অনেকবারই দেখা হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সৌজন্যে। তবে এবার শীর্ষ ফুটবল সংস্থার সাইটে সেরার তালিকায় এই গোল দেখে রোমাঞ্চ লুকাতে পারলেন না বাংলাদেশের এই মিডফিল্ডার।
আজ রবিবার (৫ মে) সকালে নিজের প্রতিক্রিয়া মিডিয়ার কাছে তুলে ধরেন তিনি, ‘ফিফার সেরার তালিকায় এই গোল আছে জানার পর অনেক ভালো লেগেছে। সতীর্থদের সবাই আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। আসলে এই গোল পাওয়ার আগে নিখুঁত ফিনিশিং করতে পারছিলাম না। আরও ভালো লাগছে কারণ টুর্নামেন্টে ওটাই ছিল আমার প্রথম গোল।’ এই খবর এখনও শোনেননি খাগড়াছড়িতে থাকা বাবা বিন্দু কুমার চাকমা ও মা বরুন মালা চাকমা। পাঁচ বোনের সবার ছোট মনিকা নিজেই তাদের এই খবরটি জানানোর অপেক্ষায় আছেন, ‘আমার বাবা-মা কিংবা বোনেরা এখনও এই ঘটনা জানে না। তবে তারা আমার সেই দুর্দান্ত গোলটি আগেই দেখেছে। খুশি হয়েছিল তখন। তবে ফিফার ঘটনাটি অন্যরকম আনন্দের। এই খবর আমি নিজেই ফোন করে বাবা-মাকে জানাবো।’
ফিফায় নিজের গোল দেখতে পাবেন, উঠবে তার নামও- কখনও ভাবেননি মনিকা। আর গোলটা যে হয়ে যাবে ভাবেননি তিনি, ‘কোনও রেকর্ড করার জন্য আমি গোল করি না। গোলটা করেছি দেশের জন্য। দল জিতলেই আমি বেশি খুশি হই। আমার মনে হয়েছিল আমি যদি আরেকটু উপরে উঠি তাহলে তো গোল পেতেও পারি। আমি হেড করে বলে নিলাম। তারপর যখন বলে শট করি আমি বুঝতে পারিনি যে এটা গোল হবে, কিন্তু বল জালে ঢোকার পর বুঝেছি যে গোল হয়েছে।’ অনেক সাধনার ফসল এই গোল, এমনটাই মনে করছেন মনিকা, ‘আমার পজিশনে গোল করার চেয়ে গোল করানোর দায়িত্বই বেশি। তবে কখনও কখনও মনে হয় আমাকেও গোল করতে হবে। আমি অনুশীলনে বাড়তি কর্নার ও ফ্রি কিক নিয়ে কাজ করি।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট