৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:৫৩ পূর্বাহ্ণ
স্পোর্টস ডেস্ক
পেস বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট বাংলাদেশে এসেই পেসারদের ফিটনেসের অভাবের কথা বলেছিলেন। প্রধান কোচের দায়িত্ব পাওয়া রাসেল ডমিঙ্গোর কন্ঠেও ছিল একই সুর। ফিটনেসের ঘাটতির পাশাপাশি পেসারদের নিবেদন, তাড়না কিংবা স্কিলের অভাব অনুভব করছেন অনেকেই। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানালেন, সমস্যাটা ‘গোড়ায়’। ‘বলাটা মুশকিল, পেসারদের কীসের অভাব! আমি যেহেতু পেস বোলার নই, ওদের মন-মানসিকতা আমার জন্য বোঝা কঠিন। একটা কারণ হতে পারে যে ঘরোয়া ক্রিকেটে ওরা এতটা বোলিং করে অভ্যস্ত নয়। এটা বড় কারণ হতে পারে। হয়তো ফিটনেসের সমস্যা হতে পারে’- বলেছেন সাকিব। ঘরোয়া ক্রিকেটে পেসারদের লম্বা স্পেলে বোলিং অনভ্যস্ততার কথা নতুন নয়। কন্ডিশনের প্রভাব তো রয়েছেই। পাশাপাশি স্থানীয় কোচ ও অধিনায়কদের দায় কম নয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে পেসারদের ব্যাকআপ করার সাহসই পান না কোচরা। নতুন বলে পেসারদের কাজই থাকে বল পুরান করে দেওয়া! তাতেই যেন সন্তুষ্ট কোচ, অধিনায়ক। অনেক সময় দেখা যায় নতুন বলে শুরু থেকেই পেসারদের পরিবর্তে স্পিন এটাক। আর পেসাররা শুরুতে সাফল্য এনে দিতে না পারলে কালেভাদ্রে তাদের বোলিংয়ে আনেন অধিনায়করা। আবার পেসাররা যে সুযোগ পেয়ে থাকেন সেগুলোর উপযুক্ত ব্যবহার করতে পারেন না। স্কিলের ঘাটতির পাশাপাশি নিবেদনের ঘাটতি তো রয়েছেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে যারা নিয়মিত খোঁজখবর রাখে তাদের কাছে এ তথ্যগুলো অজানা নয়। এর ভেতরে যারা ভালো করছেন তারাই আসছেন বিসিবির পাইপলাইনে। সাকিব ঘরোয়া ক্রিকেটে সবশেষ সাদা পোশাকে খেলেছেন ২০১৫ সালে। সেই চিত্র এবং বর্তমান চিত্র প্রায় একই রকম। জাতীয় দলের চিত্র আহামরি ভালো নয়। নিজেদের কন্ডিশনে একজন পেসার কিংবা পেসার ছাড়াই মাঠে নামার সাহস করেছে বাংলাদেশ। স্পিন আক্রমণের ওপরে ভরসা টিম ম্যানেজমেন্টের। সাকিব বিষয়টিকে বলছেন, পরিকল্পনার অংশ। তার মতে, জয়ের পরিকল্পনার জন্যই স্পিনে নির্ভর বাংলাদেশ। আবার ভিন্ন কন্ডিশনে তার তিন বা চার পেসার খেলাতেও আপত্তি নেই।
‘এখন আমরা জয়ের কথা চিন্তা করি। আগে যখন খেলেছি, তখন আমরা সবসময় দুটা পেসার খেলিয়েছি। তখন আমরা সেভাবে সাফল্য পাইনি। সে কারণেই আমরা পরিকল্পনা বদলেছি। আমার মতে পেসাররা যখনই সুযোগ পাবে, তখন যেন ভালো করতে পারে। তারা যেন এটা দলকে বোঝাতে পারে যে তাদের জায়গাটা প্রাপ্য। তাহলে ভালো হবে।’ ‘বিদেশে গেলে তো বেশিরভাগ সময় ২-৩ পেসারই খেলে। ওই জায়গায় ওদের পারফরম্যান্স বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দেশে স্পিনারদের পারফরম্যান্স বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই আমরা যখন দেশে খেলি, তখন খুব বেশি ব্যবহার করি না পেসারদের।’ ‘এই টেস্টের পরই আমাদের ভারত ও পাকিস্তানে সিরিজ, দুটিই দেশের বাইরে।
তখন আমাদের পেস বোলারদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে যদি টেস্ট জিততে হয়। ওদের ভূমিকা নাই, এটা তা নয়। তবে জায়গামতো ভূমিকা পালন করতে হবে। ’ সাকিব পেসারদের দিকে তাকিয়ে আছেন। বিদেশের মাটিতে পেসারদের হাত ধরে বাংলাদেশ সাফল্য পাবে এমনটাই বিশ্বাস তার, ‘আমি নিশ্চিত, পেস বোলিং কোচ নতুন যিনি এসেছেন, বোলারদের সঙ্গে ওসব নিয়ে কাজ করবেন এবং এই জায়গাগুলিতে উন্নতি করবে ওরা।’
The Post Viewed By: 169 People