চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

স্লিপ ফিল্ডিংয়ে উন্নতির চেষ্টা

স্পোর্টস ডেস্ক

২৬ আগস্ট, ২০১৯ | ১:১৬ পূর্বাহ্ণ

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে চলছে স্লিপ ফিল্ডিং অনুশীলনফিল্ডিংয়ে জাতীয় দলের দুর্বলতার কথা কারও অজানা নয়। সামনেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট। আর টেস্ট ক্রিকেটে সাফল্যের অন্যতম শর্ত কার্যকর স্লিপ ফিল্ডিং, যেখানে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে বহুবার। গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড হ্যামিল্টন টেস্টের কথাই ধরা যাক। অভিষেক টেস্টের প্রথম ওভারেই উইকেট পেতে পারতেন তরুণ পেসার এবাদত হোসেন। কিন্তু টম ল্যাথামের ব্যাট ছুঁয়ে আসা বল তালুবন্দি করতে পারেননি সৌম্য সরকার। শূন্য রানে ‘জীবন’ পেয়ে ১৬১ রান করেছিলেন ল্যাথাম। ম্যাচটা বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে। ৫ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া চট্টগ্রাম টেস্টের আগে তাই স্লিপ ফিল্ডিংয়ের দিকে বাড়তি নজর কোচিং স্টাফের। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো এবং ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের তত্ত্বাবধানে অনুশীলন করেছেন ক্রিকেটাররা। যেখানে গ্রাউন্ড ফিল্ডিং বা লং ক্যাচ অনুশীলনের চেয়ে স্লিপ ফিল্ডিং গুরুত্ব পেয়েছে বেশি।

পাশাপাশি ছিল ক্লোজ ইন ফিল্ডিং অনুশীলন। উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের পাশে তিনটি স্লিপ পজিশনে ছিলেন সৌম্য, ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস। শর্ট লেগে মুমিনুল হক ও সাদমান ইসলাম এবং গালিতে আরিফুল হককে রেখে চলেছে অনুশীলন। রায়ান কুকের থ্রো ব্যাট হাতে ফিল্ডারদের কাছে পাঠিয়ে অনুশীলন করিয়েছেন ডমিঙ্গো। শুরুতে পেস এবং পরে স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে ফিল্ডিং অনুশীলন হয়েছে। পেস বোলিংয়ের সময় অবশ্য শর্ট লেগ ছিল না। সব শেষে ছিল লং ক্যাচ অনুশীলন। বলাই বাহুল্য, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এ ধরনের ফিল্ডিং অনুশীলনের সঙ্গে তেমন পরিচিত নন। টেস্ট ক্রিকেটে দলের নিয়মিত স্লিপ ফিল্ডার ইমরুল এভাবে অনুশীলন করে সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা ফিল্ডিং ভালো করতে কঠোর পরিশ্রম করছি।
এবার স্পোর্টিং উইকেটে খেলা হবে বলে একটু বেশি সুবিধা পাবে পেসাররা। তাই স্লিপ ফিল্ডিংকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট