টানা দুই ম্যাচ জিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দ্বিপাক্ষিক লড়াইয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ টি-টোয়েন্টি জিতলে জিম্বাবুয়ের বাইরে প্রথম কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশকে এই সংস্করণে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পাবে সাকিব আল হাসানের দল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও সিরিজের সব ম্যাচ জেতার নজির আছে স্রেফ একবারই। এবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কাক্সিক্ষত সে লক্ষ্য পূরণে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি সরাসরি দেখাবে বেসরকারি টেলিভিশন টি-স্পোর্টস ও গাজী টিভি। প্রথম দুই ম্যাচ যথাক্রমে ছয় ও চার উইকেটে জিতে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের সুযোগ তৈরি করেছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেকোন ফরম্যাটে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের স্বাদ নিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচেও সে আবহ ধরে রাখতে চায় বাংলাদেশ।

ম্যাচের আগের দিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রধান নির্বাচক হাবিবুল বলেন, শেষ ম্যাচেও জয়টাও কাম্য তাদের। তবে টি-টোয়েন্টি দলে নতুন আবহের যে সুবাতাস, সেটি ধরে রাখা তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই তৃতীয় ম্যাচটা জেতার চিন্তা নিয়েই খেলব। আমরা যে ধরনের খেলা খেলছি, এই প্রক্রিয়াটা যদি ধরে রাখতে পারি, সেটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জিততে পারলে অবশ্যই এর চেয়ে ভালো কিছু হবে না।’

প্রথম দুই ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশ স্কোয়াডের ১২ ক্রিকেটার। চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে খেলা শামীম হোসেনকে দ্বিতীয় ম্যাচে বাইরে রেখে একাদশে নেওয়া হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দলকে জিতিয়ে সামর্থ্যরে ছাপ রাখেন মিরাজ।

অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা তানভির ইসলাম ও রেজাউর রহমান রাজা এবং পরীক্ষিত কিপার-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান দুই ম্যাচই বেঞ্চে বসে দেখেছেন। শেষ ম্যাচে স্কোয়াডের বাকি ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়ায় জোর গুরুত্ব দিচ্ছেন হাবিবুল।

তিনি বলেন, ‘মনোযোগ থাকবে জেতার দিকে। অবশ্যই আমরা জিততে চাইব। সেটার মাধ্যমে আমরা যদি (একাদশে) দুই-একটা পরিবর্তন করতে পারি, সেটা দল চাইলে করতে পারে।’

পূর্বকোণ/মামুন