চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

হার এড়াতে বাংলাদেশের দরকার ২১৪

স্পোর্টস ডেস্ক

১৭ ডিসেম্বর, ২০২২ | ৫:৩১ অপরাহ্ণ

আগের দিনে আশার আলো জ্বালিয়ে চতুর্থ দিনের শুরুটা বেশ ভালো করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় সেশন থেকে শেষ সেশন পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে গেছে টাইগাররা। এখন জয় তো দূরের কথা, হারের শঙ্কায় স্বাগতিকরা।

 

চট্টগ্রাম টেস্টে শেষদিনে ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৪১ রান। অন্যদিকে ভারতের চাই ৪ উইকেট। সাকিব ৪০ এবং মিরাজ ৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।

 

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। ৫১৩ রানের লক্ষ্যে খেলছে স্বাগতিকরা। ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান করে পঞ্চম দিনে মাঠে নামবে তারা। এর আগে প্রথম ইনিংসে ৪০৪ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ১৫০ রানে।

 

কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে বাংলাদেশ। এদিনও দুই উদ্বোধনী ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হোসেন খেলছিলেন স্বাচ্ছন্দ্যে। দুজনের কল্যাণে ভারতের বিপক্ষে প্রথম শত রানের উদ্বোধনী জুটি পায় বাংলাদেশ।

 

১৫ ইনিংস পর হাফ সেঞ্চুরি পান নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু এই ব্যাটার শেষ অবধি ধরে রাখতে পারেননি ধৈর্য। উমেশ যাদবের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে ব্যাট চালান তিনি। ঝাঁপিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন ঋষভ পন্থ। ৭ চারে ১৫৬ বলে ৬৭ রান করে আউট হন এই ব্যাটার।

 

এরপর ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি ইয়াসির আলিও। এই ব্যাটার অক্ষর প্যাটেলের হালকা টার্ন করা বলে হন বোল্ড। ১২ বলে ৫ রান করে ফিরতে হয় দুই ইনিংসেই ব্যাটিং-অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া এই ব্যাটারকে।

 

লিটন দাস উইকেটে থেকেছেন বেশ কিছুক্ষণ। কিন্তু একটা তাড়াহুড়ো তার মধ্যে ছিল। মেরে খেলতে চাচ্ছিলেন তিনি। শেষ অবধি কাল হয় সেটিই। চা বিরতির মিনিট পাঁচেক আগে ৫৯ বলে ১৯ রান করে কুলদ্বীপ যাদবের বলে উমেশ যাদবের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

 

এরপর সেঞ্চুরি তুলে নেন জাকির হোসেন। ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস খেলে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলার সুযোগ পান তিনি। অভিষেক ম্যাচে এসেও পেয়ে গেছেন সেঞ্চুরি। প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি এ নিয়ে হলো চতুর্থবার।

 

বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে এই কীর্তি গড়েন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। পরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে তার পাশে বসেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ১০ নম্বরে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন আবুল হাসান রাজু। জাকির বসলেন তাদের পাশে।

 

এরপরই অবশ্য ফিরে গেছেন সিলেটের এই ব্যাটার। ২১৯ বলে সেঞ্চুরি পান তিনি। এর পাঁচ বল পরই সাজঘরে ফেরত যান তিনি। ২২৪ বলে ১৩ চার ও ১ ছক্কায় ২২৪ বলে আউট হন জাকির। রবীচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ইনসাইড এজ হয়ে ক্যাচ যায় প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো বিরাট কোহলির হাতে।

 

মুশফিকুর রহিমও ফেরেন সাজঘরে। ২ চারে ৫০ বলে ৩০ রান করে অক্ষর প্যাটেলের সামান্য টার্ন করা বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৩ বলে ৩ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে স্টাম্প হয়ে সাজঘরে ফেরত যান নুরুল হাসান সোহান। এরপর থেকে লড়ছেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট