চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

বাংলাদেশ হবে আমার ‘ঘরের বাইরের ঘর’

স্পোর্টস ডেস্ক

১৯ আগস্ট, ২০১৯ | ১:১৯ পূর্বাহ্ণ

 

রাসেল ডমিঙ্গো, দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের সাবেক এই হেড কোচ এবার এবার হেড কোচের দায়িত্ব দিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। পরশু সেটিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে বোর্ড সভাপতির থেকে। নতুন দায়িত্বের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ও বাংলাদেশ দল নিয়ে তার বিভিন্ন কথা নিয়ে রাসেল ডমিঙ্গো অনেক কথাই বলেছেন। তার চুম্বক অংশ..
প্রশ্ন: চাকরি করতে ঘর ছাড়তে হচ্ছে আপনাকে। এর পরও মনে হয় না ঘর থেকে দূরে থাকার অনুভূতি খুব বেশি হবে আপনার।
ডমিঙ্গো : বুঝলাম না। একটু বুঝিয়ে বলবেন প্লিজ।
প্রশ্ন : বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে আপনি ছাড়াও তো আরো তিনজন দক্ষিণ আফ্রিকান আছেন। সে জন্যই জিজ্ঞেস করছিলাম।
ডমিঙ্গো : ও হ্যাঁ, এবার বুঝেছি। হা হা হা। একদম ঠিক বলেছেন। নেইল (ম্যাকেঞ্জি, ব্যাটিং কোচ) আছে, আছে শার্লও (ল্যাঙ্গেভেল্ট, পেস বোলিং কোচ)। রায়ানও (কুক, ফিল্ডিং কোচ) তো আছে। ওদের সঙ্গে আমার জানাশোনা অনেক দিনের। কাজেই একই ড্রেসিংরুমে ওদেরকে পাওয়াটা আমার জন্য দারুণ এক কাজের পরিবেশও তৈরি করে দেবে। হ্যাঁ, এটি বলতে পারেন যে বাংলাদেশের চাকরিটা আমাকে হোম অ্যাওয়ে ফ্রম হোম’ (ঘরের বাইরের ঘর) ধরনের অনুভূতিই দেবে। এই চাকরির এটিও একটি ইতিবাচক দিক যে ঘরের বাইরে আছি বলে মনেই হবে না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, একই ড্রেসিংরুমে আরো কয়েকজন দক্ষিণ আফ্রিকান থাকায় আমাদের আফ্রিকানস ভাষার চর্চাটাও বেশ ভালো চালিয়ে নিতে পারব। হা হা হা। আমাদের আড্ডাও বেশ জমবে।
প্রশ্ন : আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার সময় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকে আপনার ব্যাপারে ভীষণ উচ্ছ্বসিতই মনে হলো। আপনি নাকি বলেছেন আপনার ছুটিছাটার দরকারই নেই কোনো। আপনি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়েই পড়ে থাকতে চান। সত্যিই কি ছুটির দরকার নেই আপনার?
ডমিঙ্গো : হা হা হা। এই দায়িত্ব পেয়ে আমি নিজেকে সত্যিই খুব সম্মানিত বোধ করছি। নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বটি আমি পালন করতে চাই। আর ভালো কাজ করতে গেলে আপনাকে এর পেছনে প্রচুর সময়ও দিতে হবে। সেই সময় আমি দেবও। বাংলাদেশের ক্রিকেট যে উন্নতির পথে আছে, সেটির ধারাবাহিকতা রাখতে হলে নতুন নতুন খেলোয়াড়ও খুঁজে বের করতে হবে। এসব কাজে সময় তো আপনাকে দিতেই হবে।
প্রশ্ন : বাংলাদেশে এটিও আশা করা হয় যে জাতীয় দলের হেড কোচ ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচও দেখবেন। তা এ ক্ষেত্রে আপনার পরিকল্পনাটা একটু জানতে চাই।
ডমিঙ্গো : আমারও ইচ্ছা আছে ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ দেখতে যাওয়ার। যেটি বলছিলাম, জাতীয় দল নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি নতুন সম্ভাবনাময় তরুণ খেলোয়াড়ও খুঁজে বের করতে হবে। সেটি করতে গেলে আপনাকে জাতীয় দলের বাইরেও তাকাতে হবে। তা ছাড়া আমার দায়িত্বের মধ্যে জাতীয় দলের পরের পর্যায়ের দলগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগের ব্যাপার রয়েছে। কাজেই আশা করছি, সম্ভব হলে ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচও আমি দেখতে যাব।
প্রশ্ন : একটি বিশ্বকাপ গেল। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও আছে। সেটি সামনে রেখে নিশ্চয়ই এখন থেকেই পরিকল্পনায় নেমে যাবেন?
ডমিঙ্গো : দেখুন, পরিকল্পনা করতে হবে সব কিছু নিয়েই। যেমন বাংলাদেশে গিয়েই আমার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট আফগানিস্তানের সঙ্গে টেস্ট। এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজের আরেকটি দল জিম্বাবুয়েও। প্রথম কাজ হলো এই সিরিজ দুটি নিয়ে পরিকল্পনা করা।
এরপর ভারত সফর দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপও শুরু হয়ে যাবে। আমি মনে করি টেস্টে ভালো করাও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সব একটু বুঝে নিয়ে আশা করি, নতুন বছরের শুরু থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভালো একটি পরিকল্পনা করতে পারব।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট