কাতার বিশ্বকাপ শুরু হতে আর বেশি দেরি নেই। এই মুহূর্তে দেশগুলো ঘরোয়া ফুটবলে যেমন নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে তেমনি দল হিসাবে খেলছে প্রীতি ম্যাচ কিংবা নেশন্স লিগের মত আসরে। তবে লাতিন ফুটবল শক্তি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ছন্দে থাকলেও ফর্ম নিয়ে ধুঁকছে ইউরোপের ফুটবল পাওয়ার হাউসগুলো।
সর্বশেষ চার বিশ্বকাপ আসরের ১৬ সেমিফাইনালিস্টদের ১৩টি দলই ছিল ইউরোপের। সেখান থেকে একে একে শিরোপা নিশ্চিত করে যথাক্রমে ইতালি,স্পেন, জার্মানি ও ফ্রান্স।
তবে এবারের কাতার আসরে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি ইতালি। আর ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি ও স্পেনের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ। শীর্ষ টুর্নামেন্টে যাওয়ার আগে টানা ছয় ম্যাচে জয়হীন রয়েছে ইংল্যান্ড। যার ফলে নেশন্স লিগের শীর্ষ পর্ব থেকে অবনমিত হয়ে গেছে থ্রি লায়ন্সদের। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স কোন রকম একই অবস্থা থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে নিয়েছে।
প্রথমবারের মতো মৌসুমের মাঝপথে ইউরোপীয় দলগুলো বিশ্বকাপ বিরতিতে যাবার কারণে তাদের টুর্নামেন্ট পুর্ব অনুশীলন ক্যাম্প ও প্রীতি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকছে কম। বর্তমান বিরতির পর বিশ্বকাপের জন্য ইউরোপীয় ক্লাবগুলো ফের বিরতিতে যাবে আগামী ১৩ নভেম্বর। এর এক সপ্তাহ পর মাঠে গড়াবে বিশ্বকাপ। এর আগে ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবের খেলোয়াড়দের অন্তত ১৩টি করে ক্লাব ম্যাচ খেলতে হবে।
ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট বলেন, ‘সবাইকে একই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এটি একটি অদ্ভুত সময়, কারণ অনেকগুলো দল নিজেদের গুছিয়ে নেয়ার মতো সময় হাতে পাবে না। যে কারণে খুব কম দলই তাদের ফর্ম খুঁজে পাবে।’
সাউথগেট আরও বলেন, ‘আমরা খেলার মধ্যে আছি এবং শীর্ষ পর্যায়ের দলগুলোর সঙ্গেই খেলছি। এ কারণে আমরা আরো ভালো করতে পারব। অতীতে আমরা প্রীতি ম্যাচ খেলে টুর্নামেন্টে গিয়েছি। এই প্রথম আমরা শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর খেলতে যাচ্ছি।’
পূর্বকোণ/আর