চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

‘ক্রীড়া সংগঠনগুলো এগিয়ে আসতে হবে’

আসলাম মোর্শেদ

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ | ১২:২৫ অপরাহ্ণ

জেলাগুলো থেকে পাইপ লাইনে খেলোয়াড় সৃষ্টি না করলে রাজধানী ঢাকার পক্ষে যেমন এককভাবে মান সম্মত খেলোয়াড় সৃষ্টি করা অসম্ভব, ঠিক তেমনিভাবে উপজেলাগুলো কিংবা মহানগর থেকে যদি বিভিন্ন ইভেন্টে নারী খেলোয়াড় সৃষ্টি না হয় তাহলে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষেও এককভাবে নারীদের নিয়ে উল্লেখযোগ্য কিছু করা অনেকটা কষ্টসাধ্য। ২০-২৫ বছর আগে উপজেলা গুলোতে মেয়েদের ফুটবল কিংবা অন্য কোন ইভেন্টের খেলা আয়োজনের কথা চিন্তাই করা যেত না আমাদের রক্ষণশীল মানসিকতার কারণে।

এখন দিন পাল্টেছে, সময়ের সাথে সাথে এখন আমাদের মানসিকতায়ও পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে বঙ্গমাতা ফুটবলের মধ্য দিয়ে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন স্কুলে প্রতি বছর মেয়েরা ফুটবল খেলার সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু সেই নারী ফুটবল খেলোয়াড়দের নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে তেমন কাজ করার আর সুযোগ থাকে না।

জেলার ক্ষেত্রে বাস্তব সত্য হচ্ছে শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ফুটবল, ক্রিকেট, হ্যান্ডবল কিংবা অন্যান্য ইভেন্টে জাতীয় পর্যায়ে চট্টগ্রামের খেলোয়াড়ের সংখ্যা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে আমরা উন্নীত করতে পারিনি। দাবা, ব্যাডমিন্টন, ভলিবলসহ ৫/৬ টি ইভেন্ট ছাড়া নারী খেলোয়াড়দের নিয়ে অন্যান্য ইভেন্ট আমরা চালু করতে পারিনি। সাফ নারী ফুটবলে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এখন সময় এসেছে নারী খেলোয়াড়দের নিয়ে আরো কাজ করার।

এক্ষেত্রে অভিভাবকদেরই সবার আগে ভুমিকা রাখতে হবে। আগ্রহী মেয়েরা যাতে ক্রীড়াঙ্গনে নিজেদের মেলে ধরতে পারে সে জন্য তাদের সাথে সংগঠক, ফেডারেশন, ক্রীড়াসংস্থাগুলোকে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহন করে তা বাস্তবায়নে মনযোগী হতে হবে। একইসাথে মহিলা ক্রীড়া সংস্থাকে কার্যকর পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সংস্থাটি আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হলে তাদের পক্ষে সম্ভব চট্টগ্রামের নারীদের খেলাধুলায় আরও বিস্তার ঘটানো।

লেখক: নির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন ও সম্পাদক, দাবা কমিটি, সিজেকেএস।

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট